দৈনিক তালাশ.কমঃমঙ্গলবার,১৮ জুলাই, ২০২৩, আগামী ২২ জুলাই ঢাকা বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশকে ঘিরে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের লিফলেট বিতরণকে কেন্দ্র করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদল নেতা শহিদুল্লাহ ও শেখ অপু গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। দুই গ্রুপের মারামারির ঘটনায় শেখ অপু গ্রুপের সাব্বির আহম্মেদ হৃদয়সহ ৫ জন ও যুবদল নেতা শহিদুল্লাহ ও আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবার (১৭ জুলাই) বিকেলে শহরের চাষাঢ়া মোড়ে দুই গ্রুপের মারামারির ঘটনা ঘটে। এসময়ে লাঠিসোটা হাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবদলের দুই গ্রুপ প্রকাশ্যে মারামারি করতে থাকে। এক পর্যায়ে এক যুবদল নেতাকে সড়কে ফেলে লাঠিপেটা ও লাথি মারতে থাকে আরেক গ্রুপের নেতাকর্মীরা।
জানা যায়, ঢাকা বিভাগীয় তারুণ্যে সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে মহানগর যুবদলের পথসভা ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা সাগর। শহরের খানপুর হাসপাতাল মোড় থেকে লিফলেট বিতরণ শুরু করে মহানগর যুবদল।
লিফলেট বিতরণে প্রথম সারিতে দাঁড়ানো নিয়ে যুবদল নেতা শেখ অপুর সাথে যুবদল নেতা শহিদুল্লাহ বাকবিতন্ডা ঘটনা ঘটে। এতে করে লিফলেট বিতরণের শুরুতেই বিশৃঙ্খলা শুরু হয় সৃষ্টি হয়। ওই সময় কেন্দ্রীয় যুবদলের নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত করে। কেন্দ্রীয় নেতারা তাদের শান্ত করে পুনরায় লিফলেট বিতরণ শুরু করে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে কর্মসূচি শেষ করেন।
পরে যুবদল নেতা শেখ অপুর তার সমর্থকরা চাষাঢ়া শহীদ জিয়া হলের সামনে অবস্থান এবং একপর্যায়ে যুবদল নেতা শহিদুল্লাহর উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময়ে যুবদল নেতা শহিদুল্লাহর সমর্থকরাও পাল্টা শেখ অপুর সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এতে শেখ অপু ও তার ছোট ভাই সাব্বির আহম্মেদ হৃদয় এবং শহিদুল্লাহসহ ৫-৬ জন আহত।
এ বিষয়ে যুবদল নেতা শেখ অপু বলেন, আমাকে হত্যা করার জন্য ওরা হামলা চালিয়েছে। মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাউদ্দিন মন্তুর সমর্থক শহিদুল্লাহ নেতৃত্বে ২০-২৫ জন এ হামলা চালায়। এতে আমাকে পেছন থেকে বাঁশ দিয়ে আঘাত করে শহিদুল্লাহ। পরে আমাকে আমার সমর্থকরা সরিয়ে নিলেও আমার ছোট ভাইকে রাস্তায় ফেলে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। সে এখন আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
এদিকে যুবদল নেতা শহিদুল্লাহ বলেন, যুবদলের লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন শেষে বাড়ি ফেরার সময়ে চাষাঢ়া মোড়ে শেখ অপুর নেতৃত্বে তার ছোট ভাইসহ ২০-৩০ জন আমার উপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় আমি গুরুতর আহত হই। পরে আমার কর্মী সমর্থকরা তাদের উপর হামলা চালায়। আমি একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় আছি।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল বলেন, মহানগর যুবদলের লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে চাষাড়ায় আমাদের যুবদলের গ্রুপের সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝির একপর্যায়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি আমাদের দলীয়। সুতরাং আমরা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নিবো।