দৈনিক তালাশ.কমঃউপজেলার লালনগর গ্রামের বাসিন্দা জহুরুল আলমের পিতা জনাব শাহাদাত হোসেন একজন অশিক্ষিত ব্যক্তি আখের রস থেকে গুড় বানানোর জন্য ধিয়ানদার হিসেবে দৌলতপুর থানা সদরের সন্নিকটে সোনাইকান্দি গ্রামের কছিম উদ্দিন নামে কছের বুইনি নামে পরিচিত অধীন কাজ করার জন্য দৌলতপুরে পদার্পণ করেন। কাজ করা অবস্থায় কছের এর মেয়ে কমেজান নেছার সাথে বিয়ে করে সাহাদত হোসেন অশিক্ষিত কছের এর জমির ভুয়া কাগজ পাতি করে দখল করে নেয়। কমেজানের সঙ্গে সংসার করা অবস্থাতেই শাহাদত জহরুলের মা মেমজানের সাথে বিয়ে করেন কমেজানের জমি একের পর এক বিক্রি করতে থাকলে সাহাদত এবং কমেজানের সন্তানদের মধ্যে ব্যাপক বিরোধ দেখা দেয় এবং এই বিরোধের পরিপ্রেক্ষিতে জরুলের মেজ ভাই কুতুব এর ছেলেকে মারামারি চলাকালে কমেজানের সন্তানদের আঘাতে মৃত্যুবরণ করে। কমেজানের জমি শাহাদত আত্মসাৎ করার কারণে ভিক্ষা করে চলতে চলতে গত মে মাসে মৃত্যুবরণ করে। বর্তমানে জহুরুল আলমের সম্ভ্রান্ত পরিবারের সদস্যদের পরিচিতি ও কর্মকান্ড সরেজমিনে পাওয়া যায়। জরুলের বড়মা কমেজানের সন্তানরা কে কিভাবে দিন যাপন করছে। ১. ইবাদত বর্তমানে ভ্যান চালায়। ২. ইয়াসিন আলী ,কৃষি কাজ করতে করতে মৃত্যুবরণ করেছে ৩. মোহর আলী অন্যের কাজ করে জীবিকা অর্জন করছে। ৪. ওমর আলী বর্তমানে দৌলতপুরে বাজারে ভিক্ষা করে জীবিকা অর্জন করছে।জহরুলের আপন মা এর সন্তানরা বর্তমানে কে কি করছে। ১.লুৎফর রহমান পীরের মুরিদ হয়ে ভন্ডামুর মাধ্যমে মানুষকে ধোঁকা দিয়ে সংসার চালায় ২.কুতুব কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করত কিন্তু বর্তমানে পঙ্গুত্ব অবস্থায় চলাফেরা করতে পারে না। ৩ জাহিদুল ইসলাম বোমা জাহিদ ১৯৮৬ সালে কুষ্টিয়া-১ দৌলতপুর আসন থেকে ফ্রিডম পার্টি থেকে মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচন করেছিল, এছাড়াও হাসপাতাল ডাকাতি মামলা, জাল টাকার মামলা সহ সাবেক সংসদ সদস্য দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের আজীবন সভাপতি জনাব আফাজ উদ্দিন এর বাড়িতে বোমা হামলা করে তিনজনকে মেরে ফেলার মামলায় বর্তমানে কারাগারে যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত। ৪ জহরুল আলম ফ্রিরম পার্টি, জাকের পার্টি, জাতীয় পার্টি করার শেষে বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিতর্কিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। জহুরুল আলম এর স্ত্রী মমতা হেনা,ভুয়া পশ্য কোথায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চাকরি নিয়ে তদন্তে ধরা পড়ে বর্তমানে চাকরি চলে গেছে। জহুর আলম চারজন পার্টনারের একটি ভাটা দিয়েছিল সেই ভাটা দুইজন পার্টনারকে হিসাবে সব না দিয়ে চাঁদের টাকা আত্মসাৎ করে বর্তমানে অনেক টাকার মালিক হয়েছে। জহুরুলের পিতা নির্বাচিত কোন চেয়ারম্যান ছিলেন না দৌলতপুর ইউনিয়নের একজন চেয়ারম্যানের মৃত্যু হওয়ার কারণে মেম্বার হিসেবে কিছুদিন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব ছিলেন পরবর্তীতে যতবার চেয়ারম্যান নির্বাচন করেছেন ততবারই ২০০ থেকে ৩০০ ভোট পেয়ে জমানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। দৌলতপুরের যে সকল প্রতিষ্ঠানে জহুরুলের বাবা কমেজানের নিকট আত্মসাৎ কৃত জমি দিয়েছে সেই সকল প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে জমির ১০ গুন বেশি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। জহুরুল এর শশুর এখনো বর্তমানে মুদ্রাপুর ইউনিয়নের বিএনপির নেতা ও মেম্বার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে, শ্যালক সজীব বিএনপির নেতা, এই সকল তথ্যাবলী সরজমিনের সংগ্রহ করা হয়েছে।যদি কারো মধ্যে কোন সন্দেহ থাকে আপনারা সরজমিনে গিয়ে মিলিয়ে দেখবেন, জনমনে প্রশ্ন জেগেছে এই যদি হয় সম্ভ্রান্ত পরিবারের নমুনা তাহলে সম্ভ্রান্ত পরিবার বাংলাদেশের সকলেই।