আল-আমিন নগর এলাকা থেকে কিশোর তুহিনকে অপহরন ও মারধরের ঘটনায় সদর থানায় লিখিত অভিযোগ

দৈনিক তালাশ.কমঃআল-আমিন নগর এলাকা থেকে কিশোর তুহিনকে অপহরন ও মারধরের ঘটনায় সদর থানায় লিখিত অভিযগ দৈনিক তালাশ.কমঃনারায়ণগঞ্জ সদর থানাধীন সৈয়দপুর করইতলা এলকায় দীর্ঘদিন যাবৎ স্থানীয় এলকায় প্রভাব বিস্তার করিয়া নানা ধরনের অপকর্ম ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অটো ভাড়াকে কেন্দ্র করে মোঃ তুহিন (১২) নামের এক কিশোরকে অপহরন এবং বেধরক মারধরে ঘটনায় তুহিন এর পিতা আমান উল্লাহ (৫২) বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দালয়র করেছেন।

মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় এ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আমান উল্লাহ।

লিখিত অভিযোগের বিবরনে আমান উল্লাহ জানান, বিবাদী ১। ইয়াছিন (২৫), ২। চান্দু (৪২), ৩। রিকু (২৮), সর্ব পিতা- অজ্ঞাত, সর্ব সাং- সৈয়দপুর করইতলা, থানা ও জেলা-নারায়ণগঞ্জগণ সহ অপ্সাতনামা সহ আরো ৬/৭ জন। উক্ত বিবাদীগণ দীর্ঘদিন যাবৎ সৈয়দপুর করইতলা এলাকায় স্থানীয় এলঅকায় প্রভাব বিস্তার করিয়া নানা ধরনের অপকর্ম করিয়া আসিতেছে। গত প্রায় ১৫/১৬ দিন পূর্বে ১নং বিবাদীর সহিত অটো ভাড়াকে কেন্দ্র করিয়া কথা কাটা হইলে বিবাদী আমার অটো নিখোজ করিয়া দেওয়ার হুমকি প্রদান করে।

তিনি আর জানান, পরবর্তীতে গত ১৮/০৭/২০২৩ তারিখ আমার মালিকানাধীন অটো গাড়িটি চুরি হয়েছে কিনা এ বিষয়ে ১নং বিবাদী কিছু জানেন কিনা জানতে চাওয়ায় বিবাদী আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ নানা ধরনের ভয়-ভীতি দেখায়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৫/০৭/২০২৩ তারিখ সকাল অনুমান ০৯:০০ ঘটিকার সময় আমার অবুঝ ছেলে মোঃ তুহিন (১২) বাসা হইতে অত্র থানাধীন আল আমিননগর জিএমসি গলিস্থ তাহার কর্মস্থলে যাওয়ার পথে উল্লেখিত ১নং বিবাদী নেতৃত্বে ২ ও ৩নং বিবাদী সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৬/৭জনের একটি সংঘবদ্ধ দল একটি অজ্ঞাত অটোগাড়িতে আসিয়া পূর্ব শত্রুতার জের ধরিয়া আমার ছেলেকে অপহরন করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে বিবাদীগণ আমার ছেলেকে চলন্ত গাড়িতে বিভিন œস্থানে ঘুরে ঘুরে গাড়ির ভিতরে রেখেই বেদরক মারধর করে এবং পরবর্তীতে বিবাদীগণ অত্র থানাধীন আল আমিনগর সাবেক বরফকল গলিতে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে আমার অবুঝ ছেলেকে হাত পা ও মুখ কাপড় দিযয়ে বেধে কাঠের দ্বারা এলোপাথারী মারধর করিয়া শরীরের বিভিন্নস্থানে নীলা ফুলা জখম করে এবং ১নং বিবাদীর সাথে থাকা ধারালো সুইচ গিয়ার ছুরি দ্বারা আমার ছেলের ডান পায়ের রগ কেটে দেওয়ার চেষ্টা করে। তখন আমার ছেলে ভয়ে অচেতন হইয়া গেলে বিবাদীগণ তার মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে আমার ছেলেকে পরিত্যক্ত একটি বাড়িতে ফেলে চলিয়া যায়। পরবর্তীতে বেলা অনুমান ০২:৩০ ঘটিকার সময় আশে পাশের লোকজন দেখিয়া আমাদের সংবাদ দিলে আমার ছেলেকে আহত অবস্থান উদ্ধার করিয়াা তাৎক্ষনিক ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। এ ঘটনায় আমি আইনশৃঙ্থলা বাহিনী এবং প্রশাসনের সাহায্য ও সহযোগিতা চাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *