দৈনিক তালাশ.কমঃ হামলায় নারী শিশুসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে। এসময় তার বাড়িঘর ভাংচুর করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ মালামাল লুটে নেয় হামলাকারী সন্ত্রাসীরা।
চাঁদা দাবি এবং পূর্ব শত্রুতার জেরে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের হাজিরটেক গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আড়াইহাজার থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন হামলার শিকার আহত প্রবাসী হালিমের চাঁচা দুলাল (৪৮)।
অভিযুক্তরা হলো, একই গ্রামের আঃ রহমানের ছেলে নজরুল, সফিক,মানিক,ইসমাইল, হাবিবুল্লা,রফিক ও মৃত বুজুর আলী মাতাব্বরের ছেলে আঃ রহমান এবং নজরুলের ছেলে হোসাইন।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি সৌদি থেকে দেশে ফিরেছেন আহত প্রবাসী হালিম। দেশে ফেরার পর থেকে হামলাকারী সন্ত্রাসীরা পূর্ব শত্রুতার জেরে হালিমের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে আসছিলো ।
প্রবাসী হালিম চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় বৃহস্পতিবার রাতে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ১০/১২ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার বসতবাড়িতে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে।
এসময় প্রবাসী হালিম বসত ঘরের দড়জা খুলে বাহিরে আসিয়া ন্যায় সংগত ভাবে গালমন্দ করিতে নিষেধ করলে সন্ত্রাসীরা হালিমের শার্টের কলারে ধরেএলোপাথারি কিলঘুষি মারতে থাকে ।
এসময় হালিম সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করার চেষ্টা করলে তাদের হাতে থাকা দ্বারালো রাম দা দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে হালিমের ডান কাঁধের উপরে ও মাথায় স্বজোরে কোপ মারলে মাথার মধ্যাংশে খুলির মাঝবরাবর গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়ে মাটিতে লুটে পরে
এসময় হালিমকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা করতে তার চাচি সাজেদা বেগম (৪০) এগিয়ে আসলে তাকেও চুলের মুঠ ধরিয়া এলোপাথারি কিলঘুষি ও তলপেটে লাথি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা তাকেও দেশীয় অস্ত্র টেটা দ্বারা গাঁই দিয়ে বাম পায়ের গোড়ালিতে রক্তাক্ত জখম সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে।
পরে আহতদের শোর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে হামলাকারীদের হাত থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
এদিকে হামলাকারীরা বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে ঘরে থাকা নগদ টাকা, মোবাইল সেট,স্বর্ণাংলকারসহ প্রায় ৮ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় হামলাকারী সন্ত্রাসীরা।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান,এই সন্ত্রাসী দলটি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাদি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে বেড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলাএবং অভিযোগ থাকলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা ।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমদাদুল ইসলাম তৈয়ব বলেন, আমি ছুটিতে আছি। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। সত্য প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।