ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও এই আইনে গ্রেপ্তার খাদিজার মুক্তি দাবিতে নারায়ণগঞ্জে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের মানববন্ধন

দৈনিক তালাশ.কমঃ নারায়ণগঞ্জ শহরে ও সব উপজেলায় সরকারি নারী হোস্টেল,ডে-কেয়ার সেন্টার ও নারী বান্ধব পাবলিক টয়লেট করতে হবে

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল,ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার খাদিজাতুল কুবরার অবিলম্বে মুক্তি এবং নারায়ণগঞ্জ শহর ও প্রতিটি উপজেলায় সরকারি ডে-কেয়ার সেন্টার,কর্মজীবি নারীদের জন্য সরকারি হোস্টেল নির্মাণ ও শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে নারীবান্ধব পাবলিক টয়লেট নির্মাণের দাবিতে আজ বিকেল ৫.৩০ টায়  সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মিমি পূজা দাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আক্তারের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য  রাখেন সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলার শ্রম বিষয়ক সম্পাদক রিমা আক্তার,প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুইটি বেগম,সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মুন্নি সর্দার, অর্থ সম্পাদক নাছিমা আক্তার।
নেতৃবৃন্দ বলেন,দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে দমনপীড়ন চলছে। নিরাপত্তা দেবার নাম করে হরণ করা হচ্ছে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার। সংবাদমাধ্যম কর্মীরাও হচ্ছেন এই আইনের শিকার। স্বাধীন দেশে বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেয়ার একটি নতুন হাতিয়ার এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এই আইনের শিকার জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্রী খাদিজাতুল কুবরা। ২০২০ সালে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও মানহানিকর পোস্ট দেওয়ার অপরাধের কথা বলে তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ ২০২৩ সালে এসেও খাদিজা জেলখানায় বন্দী। নেতৃবৃন্দ দীর্ঘদিন ধরে হয়রানির শিকার খাদিজাকে অবিলম্বে মুক্তি প্রদান করার দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। অর্থনীতির মূলধারার স্বীকৃত উৎপাদন খাতের মোট কর্মীর প্রায় অর্ধেক নারী। সেই নারীকে সন্তান সামলে অর্থনৈতিক কাজ করতে হয়। এরমধ্যে নারায়ণগঞ্জ একটি ঘনবসতিপূর্ণ শিল্প শহর। এখানে লক্ষ লক্ষ নারী কর্মে নিয়োজিত। কিন্তু এখানে নামমাত্র সরকারি ডে-কেয়ার সেন্টার ও নারী হোস্টেল আছে। চলতি বাজেটে ডে কেয়ার সেন্টার ও কর্মজীবি নারী হোস্টেলের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। কিন্তু বাজেটে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বরাদ্দ দেওয়া থাকলেও তার বাস্তবায়ন দেখা যায় না। তাই নিরাপদ ও কার্যকর সরকারি ডে কেয়ার সেন্টার অবিলম্বে প্রতিটি জেলার প্রত্যেক উপজেলায় ও শহরে নির্মাণের দাবি জানান নেতৃবৃন্দ। নারীরা বিভিন্ন জেলা থেকে নারায়ণগঞ্জে কাজ করতে আসে। কাজ করতে এসে তারা অস্বাস্থ্যকর ও অনিরাপদ পরিবেশে অনেক টাকা ভাড়া দিয়ে বসবাস করে। তাদের জন্য সরকারি উদ্যোগে প্রত্যেক উপজেলা ও শহরে নিরাপদ কর্মজীবি হোস্টেলের নির্মাণকাজ দ্রæত শুরু করার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ। নারায়ণগঞ্জ শহরে হাজার হাজার নারী কাজের প্রয়োজনে বাইরে আসে, দীর্ঘ সময় তাদের বাইরে থাকতে হয়। শহরে কয়েকটি পাবলিক টয়লেট থাকলেও এগুলো নারীদের ব্যবহারের অনুপযোগী ও বিব্রতকর। কাজের প্রয়োজনে বাইরে আসা নারীরা যাতে স্বচ্ছন্দে ব্যবহার করতে পারে তার জন্য শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নারী বান্ধব পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *