ত্যাগীদের বাদ দিয়ে ফ্রিডম পার্টি নেতার ভাই উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি 

দৈনিক তালাশ.কমঃ দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ঘোষণা করা হলো ফ্রিডম পার্টি নেতা বোমারু জাহিদের ছোট ভাই মোঃ জহুরুল আলম কে। ত্যাগীদের বাদ দিয়ে অর্থের বিনিময়ে কমিটি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বিরুদ্ধে।

ফ্রিডম পার্টির নেতার ভাই কে সভাপতি ঘোষণা করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পদ প্রত্যাশী ও ত্যাগী নেতা-কর্মীরা।
বিক্ষুব্ধ সেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকর্মীরা জানান,কোনও ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ১০ই জুলাই দৌলতপুর উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে মোঃ জহুরুল আলম কে সভাপতি হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের
সভাপতি আক্তরুজ্জামান লাবু ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠন গতিশীল করার লক্ষ্যে নতুন কমিটি দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে, নবনির্বাচিত দৌলতপুর উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি
ফ্রিডম পার্টি পরিবারের বলে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ থাকার পরেও বিপুল অঙ্কের টাকার বিনিময়ে জেলা সেচ্ছাসেবক লীগ তাকে মনোনীত করে বিতর্কিত কমিটি দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কর্মীরা। বিষয়টি জানাজানি হলে রাজনৈতিক মহল এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে
সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় উঠে।

দৌলতপুর উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক এক নেতা জানান, ঐতিহ্যবাহী ছাত্রসংগঠন সেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টির জন্য আমরা দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করেই কোনও পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সন্মেলনের একদিন আগেই মোঃ জহুরুল আলম কে সভাপতি মনোনীত করে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। সাবেক এমপি আফাজ উদ্দীন আহমেদ হত্যা চেষ্টা মামলার যাবদজ্জীবন কারাদন্ড সাজাপ্রাপ্ত ফ্রিডম পার্টি নেতা বঙ্গবন্ধুর খুনির দল ফ্রিডম পার্টি থেকে মনোয়ন পেয়ে জাতীয় সাংসদ নির্বাচন করেন জহুরুল আলম এর ভাই বোমারু জাহিদ। জহুরুল আলম ছাত্রজীবনে ফ্রিডম পার্টি,জাকের পার্টি, দৌলতপুর কলেজ।ছাত্র সমাজের সভাপতি ও দৌলতপুর উপজেলা ছাত্রসমাজের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, জহুরুল আলম জাতীয় পার্টি থেকে দৌলতপুর আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হোন জহুরুল আলম। দীর্ঘ ১৮ বছরের মধ্য কোন সভা-সমাবেশ এবং।ইউনিয়ন কমিটি দিতে পারেনি জহুরুল আলম। সর্বশেষ সদ্য ইউনিয়ন নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী নির্বাচন করেন জহুরুল আলম। ত্যাগী কর্মীদের কোনও সুযোগ না দিয়ে জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অর্থের বিনিময়ে ফ্রিডম পার্টি পরিবারের সন্তানের কাছে কমিটি বিক্রি করেছে। আমরা এই বিতর্কিত কমিটি বাতিল চাই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পদ বঞ্চিত এক নেতা জানান, কমিটি দেয়ার নাম করে জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আক্তরুজ্জামান লাবু বিভিন্ন সময় নানা অজুহাতে জহুরুল আলমের টাকা নিয়েছেন। এখন শুনছি ২০ লক্ষ টাকা নিয়ে কমিটি বাণিজ্য করেছেন। শুধু তাই আওয়ামীলীগ
নয় পরিবারের নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে চিহ্নিত ফ্রিডম পার্টি পরিবার থেকে সভাপতি মনোনীত করেছেন। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দল ফ্রিডম পার্টির এমপি প্রার্থীর ছোট ভাইকে, যে সকল নেতৃবৃন্দ
দৌলতপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পদে বসালেন তারা বঙ্গবন্ধুর রক্তের সাথে খন্দকার মোস্তাকের মত বেইমানী করলেন। আমরা এ ঘটনায় লজ্জিত, বিব্রত। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও কমিটি বাতিল করে ত্যাগী নেতৃত্বের মূল্যায়ন চাই। এদিকে, ফ্রিডম পার্টি পরিবারের সন্তানদের সভাপতি করায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগ ও আওয়ামী লীগের নেতারা। তবে,অর্থের বিনিময়ে কমিটি দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *