দৈনিক তালাশ.কমঃদৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হলেন ২০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে, সাবেক এমপি আফাজ উদ্দীন আহমেদ হত্যা চেষ্টা মামলার সদ্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত ফ্রিডম পার্টি নেতা বোমারু জাহিদ’র ছোট জহুরুল আলম।
জহুরুল আলম ছাত্রজীবনে ফ্রিডম পার্টি ,জাকের পার্টি, দৌলতপুর কলেজ ছাত্রসমাজ’র সভাপতি ও জাতীয় পার্টি দৌলতপুর উপজেলা ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, সর্বশেষ জাতীয় পার্টি থেকে কুরবান সাহেবের সঙ্গে যোগ দিয়ে দৌলতপুর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হোন জহুরুল আলম। দীর্ঘ ১৮ বছরের মধ্য কোন সভা-সমাবেশ এবং ইউনিয়ন কমিটি দিতে পারেনি জহুরুল আলম, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেব লীগের সভাপতি মোঃ আক্তারুজ্জামান লাবুকে ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হলেন মোঃ জহুরুল আলম।
দৌলতপুর আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগ শাখা’র কর্মী সমাবেশে দৌলতপুরের সমস্ত নেতাকর্মী জহরুল আলমের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়ে বক্তব্য দিয়ে ছিলেন এবং বলেছে কোন দলছুট ব্যক্তিকে দিয়ে কমিটি করালে দৌলতপুর উপজেলার তৃনমূল আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা মেনে নেবে না বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফ্রিডম পার্টি করা পরিবারের সদস্যদের দল থেকে বিতাড়িত করতে হবে, কিন্তু অর্থের বিনিময়ে জহুরুল আলম কে সভাপতি করায় আজ আমরা হতাশ।
দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, সদ্য সমাপ্ত ইউপি নির্বাচনে জহুরুল আলম জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকা মার্কার বিরুদ্ধে গিয়ে বিদ্রোহী নির্বাচন করেন। এছাড়াও ফ্রিডম পার্টি থেকে জাতীয় সাংসদ নির্বাচন করেছেন তার বড় ভাই জাহিদ। এখনি সময় জহুরুল আলম’র পরিবার কে আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা তা না হলে তাদের পরিবার আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে।