পূর্ব হাজীপুরে ফসলি জমি বিলিনের পথে

দৈনিক তালাশ.কমঃ বন্দরে অবৈধ ড্রেজারের মাধ্যমে অপরিকল্পিত ভাবে কৃষি জমিজমা ভরাট হওয়ার কারনে বিলিন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি। এমন কথা জানিয়েছে ভুক্তভোগী কৃষকসহ সচেতন মহল।

ভুক্তভোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো জানান, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের পূর্ব হাজীপুর এলাকার মোহাম্মদ হোসেন মিয়ার ছেলে ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার মাহাবুব ও তার ছোট ভাই পাভেল এবং বন্দর ছালেহনগর এলাকার মৃত চাঁন বাদশা মিয়ার ছেলে ছানোয়ারগং কতিপয় কিছু আওয়ামীলীগ নেতা ও প্রভাবশালী মহলের শ্লেটারে অর্থ ও শক্তির জোরে বন্দর থানার হাজীপুর কবরস্থান রোড, হাজীপুর মধ্য বিল, নয়ানগর ও সাবদীসহ এর আশে পাশের অধিকাংশ ফসলি জমি নিরিহ কৃষকদের কাছ থেকে নাম মাত্র মূল্য দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে। পরে ক্রয়কৃত ফসলি জমিতে রাতা রাতি বালু দিয়ে ভরাট করে প্লট আকাড়ে বিক্রি মাধ্যমে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে উঠছে।
সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উল্লেখিত এলাকার অধিকাংশ বিলে নতুন নতুন ঘরবাড়ী উঠতে দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়াও পূর্ব হাজীপুর এলাকায় ফসলি বিল জুরে রয়েছে বেশ কয়েকটি অবৈধ ড্রেজার।
এলাকাবাসী সাংবাদিকদের আরো জানিয়েছে, অবৈধ ড্রেজার ব্যবসায়ীরা কৃষি জমির মালিককে মিথ্যা মামলার ভয়ভিতি প্রদর্শন করে এবং বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তাদের ফসলি জমি অবাধে ভরাট করে ফেলছে।
এ ব্যাপারে ওমর ফারুক নামে এক কৃষক জানান, কৃষি জমি জমার উপর বসতি ঘরবাড়ী গড়ে উঠার কারনে বিলিন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি। ফসলি জমি বিলিন হওয়ার কারনে ফসলের আবাদ কমে যাচ্ছে উল্লেখিত এলাকায়। এক সময়ে হাজীপুর বিলের আবাদি ফসল দিয়ে বন্দরসহ শহরের চাহিদাও পুরন হতো। এই চাহিদা এখন আর পুরন করা সম্বভ নয়।
এ ছাড়াও পূর্ব হাজীপুর এলাকার বাসিন্দা ইউনুছ জানান, গত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে মাহাবুব মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে আখের গুছাতে ব্যস্ত হয়ে পরেছে। পূর্ব হাজীপুর বিল জুড়ে রয়েছে তার বেশ কয়েকটি অবৈধ ড্রেজার। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে উল্লেখিত বিলে অবাধে ড্রেজার দিয়ে কৃষি জমিজমা ভরাট করার কারনে গোটা হাজীপুর এলাকায় মরুভূমিতে পরিনত হচ্ছে। এতে করে পূর্ব হাজীপুরসহ এর আশে পাশের এলাকার পরিবেশ মারাত্মক ভাবে নষ্ট হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার মাহাবুব ও সানোয়ারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ দূর অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভূক্তভোগি কৃষকগনসহ সচেতন মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *