দৈনিক তালাশ.কমঃক্যাবল অপারেটর,ইন্টারনেট এবং টেলিফোনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তার মাটির নিচ দিয়ে নেয়ার সরকারি নির্দেশনা থাকলেও মানছেন না কেউ।কোন প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও সিটি কর্পোরেশনের খুুঁটিতে ঝুঁকিপূর্ণভাবে তার স্থাপন করছে সংস্থাগুলো।এতে প্রাণহানি ও নানা দুর্ঘটনার পাশাপামি ঘটছে নগরীর সৌন্দর্যহানিও।নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলি সব স্থানেই বিদ্যুতের খুঁটিতে মাকড়সার জালের মতো প্যাঁচানো আছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তার। খুঁটি থেকে ছিরে পড়া ঝুলন্ত এসব তারের কারণে আতঙ্কের পাশাপাশি রয়েছে মৃত্যুর ঝুঁকি।
অন্যদিকে বিদ্যুতের খুঁটি ব্যবহার করে এসব তার ছড়িয়ে পড়েছে নগরীজুড়ে। প্রতিটি খুঁটির সঙ্গে পাকিয়ে তৈরি হয়েছে তারের কুন্ডলি। ঝুলে থাকা এসব তারের মাধ্যমেই মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হওয়ার সহ নানা রকম দুর্ঘটনা ঘটছে। জঞ্জালের মতো এসব তার নষ্ট করছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সৌন্দর্য।
সুশীল সমাজের মতে, শুধু অবকাঠামো উন্নয়ন সাধন করলেই হবে না, বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের পাশাপাশি কি করে নগরীর সৌন্দর্যবর্ধন করা যায় সেই দিকেও বিশেষ লক্ষ রাখতে হবে।
সচেতন নাগরিকদের মতে যেহেতু ক্যাবল অপারেটর, ইন্টারনেট ও টেলিফোনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তার মাটির নিচ দিয়ে নেয়ার সরকারি নির্দেশনা আছে সেহেতু নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন সহ অন্যান্য দপ্তরগুলো সেই নির্দেশনার বলে সকল বৈধ ও অবৈধ সংযোগকারী প্রতিষ্ঠানেকে নোটিশের মাধ্যমে প্রথমে অবগত করতে পারে। সেই নোটিশের প্রেক্ষিতে আশানরূপ উন্নতি সাধিত না হলে কর্তৃপক্ষ অবশ্যই যেকোনো আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু আফসো কর্তৃপক্ষ এই রূপ কোন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না।
বিদ্যুতিক তারে স্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারাচ্ছে অনেকে। তারপরও ওই তারের জঞ্জাল অপসারনের কোনো উদ্যোগ নেই। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন সড়কে তাকালেই দেখা যায় চারদিক ভরে গেছে ইন্টারনেট ও ডিশ লাইনের তারের গোছায়। যেসব খুঁটি এসব গোছার ভার বইছে সেসব কুঁজো বুড়ির মতো হয়ে গেছে। যে কোন সময় পড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। তাছাড়া আরও কিছু ক্ষেত্রে এসব গোছার ঝুঁলন্ত তার চরম ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিও সৃষ্টি করে। দেখলে মনে হয় অযতেœ জটা লাগা চুল। কিন্তু চল নয়। সবই তারের জঞ্জাল। ইন্টারনেট, ডিশ, টেলিফোন, বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইনগুলো জড়িয়ে আছে একসঙ্গে। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় মাথাও ওপর তাকালে এমন দলা পাকানো অবৈধ তারের জঞ্জাল চোখে পড়ে।
সরকারী সিদ্ধান্ত অমান্য করে ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও কেবল টিভি অপারেটররা দিনের পর দিন মাথার ওপর দিয়ে তার টানছে। খুঁটিতে বৈদ্যিতিক তার থাকলেও তার পাশাপাশি টেলিফোন, ডিশ এবং ইন্টারনেটের তার মিলে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তারে তারে ধাক্কা খেয়ে তার থেকে মাঝেমধ্যে আগুনের ফুলকিও বের হয়। তখনই লোকজন দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে পুরো এলাকায়। এছাড়া ট্রান্সফলমারগুলোও ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা তারের জটের কারণে ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ হতে পারে। আর তা হলে বাচার উপায় থাকবে না। এ ব্যাপারে লক্ষণীয় কোন উদ্যোগ নেই বিদ্যুত বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের ডিশ, ইন্টারনেক সংযোগ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায় পুরোটাই বিদ্যুতের খুঁটি নির্ভর। বিদ্যু বিভাগসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থতার কারণেই রাস্তায় ঝুলন্ত তার সরানোর কাজে বিলম্ব হচ্ছে।ফলে বিপজ্জনক তারের জট থেকে নগরবাসী মুক্তি পাচ্ছে না।