দৈনিক তালাশ.কমঃবন্দরে তালাকপ্রাপ্তা প্রথম স্ত্রী ও তার সন্তানদের সন্ত্রাসী হামলায় ২য় স্ত্রীকে পিটিয়ে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেওয়ার মামলায় সন্ত্রাসী সৎ ছেলে ও তার নানাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১ আগষ্ট) ভোরে বন্দর থানার এসআই ফয়েজসহ সঙ্গীয় র্ফোস বন্দর উপজেলার বাজুরবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসী নানা নাতিকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত হলো মামলার ২নং এজাহারভূক্ত আসামী নাতি সাব্বির ওরফে প্রিন্স (২০) বন্দর উপজেলার বাজুরবাগ এলাকার সহিদ হোসেন পিতার ছেলে ও মামলার ৪নং আসামী অপরধৃত নানা আয়নাল হক (৬০) একই এলাকার মৃত রহমান আলী ছেলে। গ্রেপ্তারকৃত নানানাতিকে মঙ্গলবার (১ আগষ্ট) দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরন করেছে পুলিশ। এর আগে গত শনিবার (২৯ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টায় বন্দর উপজেলার বিবিজোড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী আহত ২য় স্ত্রী আছমা বেগম তালাকপ্রাপ্তা ১ম বড় সতিন শাকিলা আক্তার ববি ও তার দুই সন্ত্রাসী ছেলেসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা ৩৬(৭)২৩।
মামলার তথ্য সূত্রে জানাগেছে, গত ২২ বছর পূর্বে ২য় স্ত্রী মামলার বাদিনী আছমা বেগমের স্বামী সহিদ হোসেনের সাথে বন্দর উপজেলার বাজুরবাগ এলাকার আয়নাল হক মিয়ার মেয়ে শাকিলা আক্তার ববি সাথে ইসলাামি শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে সাব্বির ওরফে প্রিন্স (২০) ও সিফাত (১৮) নামে দুইটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বাদিনী স্বামী বিদেশ থাকা কালিন আমার স্বামী তালাকপ্রাপ্তা প্রথম স্ত্রী বিভিন্ন পরপুরুষের সাথে পরকিয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পরে।উক্ত ঘটনা নিয়ে তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী সাথে বাদিনী স্বামী বিরোধ সৃষ্টি হয়।এক পর্যায়ে তালাক প্রাপ্তা স্ত্রী শাকিলা আক্তার ববি আমার স্বামীর গচ্ছিত টাকা পয়সা চুরি করে নিয়ে যায়।এ ঘটনায় ১ম স্ত্রী শাকিলা আক্তার ববি গত ২০২১ইং সালের ২১ জানুয়ারীতে বাদিনী স্বামীকে তালাক প্রদান করে। পরে গত ২০২১ইং সালে ২৪ অক্টবর সহিদ হোসেন ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক মামলার বাদিনী আছমা আক্তারের সাথে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। আমার বিয়ে হওয়ার পর থেকে তালাকপ্রাপ্তা ১ম স্ত্রী ববিসহ তার দুই ছেলে ও তার পিতা আয়নাল হক ও তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম একই এলাকার কলি আক্তার ও রোকেয়া বেগম আমাকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৯ জুলাই ১নং বিবাদী ববি আক্তারের হুকুমে তার দুই ছেলেসহ উল্লেখিতরা ক্ষিপ্ত হয়ে বাদিনীকে বেদম ভাবে পিটিয়ে আহত করে ঘরের আসভাবপত্র ভাংচুর করে স্বার্ণালংকার ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়।