দৈনিক তালাশ ডটকম :র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ উৎস উদ্ঘাটন,অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন-শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১, সিপিএসসি, নারায়ণগঞ্জ এর আভিযানিক দল কর্তৃক ২৫ মে ২০২৩ খ্রিঃ নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন উত্তর হাজীগঞ্জ এলাকা হতে চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী আমির হোসেন (৩৭), পিতা- আকতার হোসেন’কে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামী আমির হোসেন (৩৭) নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন ইস্পাহানি এলাকার বাসিন্দা। ভিকটিম (১৩) একজন গার্মেন্টস কর্মী। গত ১০ এপ্রিল ২০০৪ খ্রিঃ ভিকটিম (১৩) রাতে গার্মেন্টস থেকে ফেরার পথে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন কাইয়ুমপুরস্থ রহমান গার্মেন্টস এর রাস্তায় পৌছালে গ্রেফতারকৃত আসামী তার অন্যান্য সহযোগীদের সহায়তায় ভিকটিমকে পথরোধ করে মুখ চেপে ধরে এবং হাত-পা বেঁধে পাশর্^বর্তী পিটালিপুল রহমান ডাইং এর পূর্ব পাশের্^ আসামীর ভাড়া করা মেছে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে ভিকটিম (১৩) এর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক গ্রেফতারকৃত আসামী আমির হোসেন (৩৭) সহ তার সঙ্গীয় সহযোগী আসামীরা পালাক্রমে ধর্ষন করে। অতঃপর গ্রেফতারকৃত আসামী আমির হোসেন (৩৭) ও সঙ্গীয় এজাহারনামীয় পলাতক আসামীরা ভিকটিমকে উক্ত ঘটনার কথা প্রকাশ না করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি প্রদর্শণসহ হুমকি প্রদান করে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়।উক্ত ঘটনায় ভিকটিম (১৩) এর বোন বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা মডেল থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং- ১৫, তারিখ- ১০ জুলাই ২০০৪ খ্রিঃ, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(৩)/৩০। উক্ত গণধর্ষণের পর হতে গ্রেফতারকৃত গণধর্ষণকারী চক্রের মূলহোতা আসামী আমির হোসেন (৩৭)সহ তার সঙ্গীয় অন্যান্য এজাহারনামীয় পলাতক আসামীরা কৌশলে আত্মগোপনে থাকে। বিজ্ঞ আদালত ২৩/০৫/২০২৩ খ্রিঃ গ্রেফতারকৃত আসামী আমির হোসেন (৩৭)সহ সঙ্গীয় অন্যান্য আসামীদেরকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে গোয়েন্দা নজরদারী ও গোপন অনুসন্ধানের মাধ্যমে র্যাব-১১, সিপিএসসি,নারায়ণগঞ্জ এর চৌকস আভিযানিক দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণ মামলার আসামী আমির হোসেন (৩৭) এর অবস্থান সনাক্ত পূর্বক গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এই মামলার অন্যান্য পলাতক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের গ্রেফতারের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামীকে বন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।