দৈনিক তালাশ ডটকম :নারায়নগঞ্জ বন্দর প্রশাসনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছে বন্দর প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদের নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার (১৮মে) দুপুরে বন্দর উপজেলা পরিষদের অডিটরিয়ামে নব-নির্বাচিত প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ এ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
শুভেচ্ছা বিনিময় কালে বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা বি.এম. কুদরত এ খুদা বলেন, আমার প্রতিটি কাজে সহযোগিতা ও আন্তরিকতা থাকে। বন্দরে যোগদানের পর বাল্যবিবাহ নিয়ে প্রতিটি শুক্রবার ফোন পেতাম আর বন্ধ করতাম। এরপর বন্দর উপজেলার সকল কাজী নিয়ে একটি সভার মাধ্যমে তাদের কঠোর পদক্ষেপ নিলে তারা এখন বাল্যবিবাহ থেকে বিরত রয়েছে। এরই মধ্যে সাত মাসে কোন বাল্যবিবাহ খবর পায়নি। মানুষের স্বার্থে আমরা প্রশাসন ও সাংবাদিক সমাজ একত্রে কাজ করি। ভালো যে কোন প্রস্তাব আসলে কাউকে ফিরে দেই না। অন্যর জমি কেটে বালু উত্তোলন করা বন্ধ করেছি। তারপর গণমাধ্যমের সহযোগিতায় অনেক বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। আপনাদের লিখনীর মাধ্যমে আমাদের প্রশাসনের কার্যক্রম আরো গতিশীল রূপ নেয়। যোগদানের পর থেকে নিজের উপজেলার মত সাজিয়ে তোলার চেস্টা করে যাচ্ছি। আপনারা জানেন, সরকার যে কোন সময় আমাকে আরেক স্থানে দিতে পারে। বন্দর উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকতা হিসেবে আমার প্রথম ইউএনও হওয়া দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, গাজীপুর সহ বিভিন্ন জেলায় এনডিসি ও এসিল্যান্ডে দায়িত্ব পালন করে ছিলাম। আমার প্রথম প্রশাসনের দায়িত্ব ছিল রাঙামাটি। ইউএনও যোগদান থেকে বন্দর প্রেসক্লাবের সব সময় পাশে ছিলাম আগামীতে সর্বত্রভাবে চেষ্টা করবো আশা রাখি।
শুভেচ্ছা বিনিময় কালে উপস্থিত ছিলেন, নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি মেহেবুব মিয়া, মোঃ মামুন মিয়া, সহ-সাধারন সাধারণ সম্পাদক জি এম সুমন, অর্থ সম্পাদক মেহেদী হাসান সজীব, সাংগঠনিক সম্পাদক আমির হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান রিপন, প্রচার সম্পাদক শাহজামাল, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক হৃদয় হোসেন জয়, নির্বাহী সদস্য ইমরান মৃধা ও দিন ইসলাম দিপু।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, বন্দর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সরদার মোঃ আলীম, সহ-সভাপতি কবির হোসেন, প্রাথমিক সদস্য সবুজ মাহমুদ, ইকবাল হোসেন, মহিদ রানা লতিফ, মামুনুর রশিদ মামুন ও মেহেদী হাসান মুন্না।
বন্দর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি মোবারক হোসেন কমল খান বলেন, বন্দর প্রেসক্লাবের সকল সদস্যরা স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় কর্মরত। এই প্রেসক্লাবের কোন ফেসবুক সাংবাদিক বা নিজের অনলাইনের কোন সাংবাদিক নেই। প্রশাসনের প্রতি আহবান থাকবে, কোন ভুইফোড় উপজেলা বা বন্দর নামে সাংবাদিক সংগঠন থেকে বিরত থাকুন। তারা কোন স্থান থেকে এসেছে বা আসছে আপনারা জেনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। বন্দর প্রেসক্লাব সব সময় উপজেলা প্রশাসনের পাশে আছে ভবিষ্যতে থাকবে। মহামারি করোনা সময়ও উপজেলা প্রশাসনের সকল কর্মকান্ডে বন্দর প্রেসক্লাবের সদস্যরা ছিলো পাশে।
বন্দর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সিদ্দিকী বলেন, সাংবাদিক নামধারী অনেক বড় বড় বাটপার সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তাদের জিম্মি করে তাদের কাছ থেকে উৎকোচ দাবিও করে। প্রশাসনের প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে আপনার কাছে আমাদের দাবি, বন্দর প্রেসক্লাবের সাথে কোন সংগঠনকে জোড়া দিবেন না। বন্দর প্রেসক্লাব আজ দেখতে দেখতে ৩০বছর হয়েছে। আজ প্রশাসনের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে ভুইফোড় সংগঠন সৃষ্টি হয়েছে, তাদের কাছ থেকে আপনারা সাবধান হোন।