দৈনিক তালাশ.কমঃঘটনা ও গ্রেফতারের বিবরণ:জেলার পুলিশ সুপার জনাব প্রলয় কুমার জোয়ারদার, বিপিএম (বার), পিপিএম মহোদয়ের দিক-নির্দেশনায় ওসি ডিবি রুপন কুমার সরকার, পিপিএম(বার) এর তত্ত্বাবধানে জেলা গোয়েন্দা শাখার এলআইসি টিম জেলায় সংঘটিত বিভিন্ন চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ অবৈধ অস্ত্রগুলি উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
তারই ধারাবাহিকতায় ইং ১১/১১/২০২৩ তারিখে স্বর্ণ চোরাকারবারী চক্রের কামাল গং কর্তৃক বেনাপোল থেকে ওমর ফারুক ওরফে সুমন (২৬), পিতা-ওসমান গনি, সাং-টেংরালী, থানা-শার্শা, জেলা-যশোরকে অপহরণ পূর্বক হত্যার ঘটনাটি ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হওয়ায় জেলা পুলিশ সুপারের নির্দশে মাঠে নামে ডিবি। ডিবি’র এসআই মুরাদ হোসেন এর নেতৃত্বে এসআই শামীম হোসেন, শফি আহম্মেদ রিয়েলদের সমন্বয়ে একটি চৌকশ টিম ঘটনাস্থলের আশে পাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও আসামীদের মোবাইল তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল ইং ২০ নভেম্বর বেলা ১২.৩০ ঘটিকার সময় ঢাকার আশুলিয়া কাঠগড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামী কামালসহ অন্যতম সহযোগী আসামী এজাজ, ইসরাফিলদেরকে গ্রেফতার করে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক বেনাপোল স্থল বন্দর বাস টার্মিনাল এর সামনে থেকে অপহৃত সুমনের মৃতদেহ গুমের কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার এবং ঘটনাস্থলে ঘরের ছাদ থেকে হত্যাকাজে ব্যবহৃত লোহার পাইপ, প্লাস উদ্ধার পুর্বক জব্দ করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, স্বর্ণ চোরাকারবারীদের ৩৫টি বার অনুমান ৩ কেজি স্বর্ণ খোয়া যাওয়ায় স্বর্ণ চোরাকারবারী চক্রের কামালগং ভিকটিম সুমনকে সন্দেহে আটক করে মারধর করে স্বর্ণ না পেয়ে তাকে হত্যা করে লাশ মাগুরা সদর থানাধীন রামনগর এলাকায় ঝিনাইদহ-মাগুরা মহাসড়কের পাশে ঝোপের মধ্যে ফেলে দেয়। এর আগে গতকাল ১৬ নভেম্বর বেলা ১২.০০ ঘটিকার সময় মাগুরা রামনগর থেকে ভিকটিম সুমনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আসামীর তথ্য:
১) কামাল হোসেন(৪০),পিং মৃত আব্দুর রশিদ,সাং বড়আচড়া
২) ইজাজ (২৪),পিং সিরাজুল ইসলাম,সাং সাদিপুর
৩)ইসরাফিল (২৯),পিং রফিজুল ইসলাম ,সাং সাদিপুর
সর্ব থানাঃ বেনাপোল পোর্ট ,জেলা যশোর
উদ্ধারকৃত আলামতঃ
১। লাশ গুমের কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার।
২। হত্যা কাজে ব্যবহৃত লোহার পাইপ ও প্লাস
৩) ভিকটিমকে মারার ভিডিও ধারনকৃত একটি মোবাইল ফোন।