দৈনিক তালাশ ডটকম :হাসপাতালের গন্ডি পেরুতেই পারলো না বিক্ষোভ মিছিল, পুলিশ দেখেই কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণাশ হর সংবাদদাতা: বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে আজাদপন্থি নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদল। মঙ্গলবার (০৯ মে) শহরের খানপুর ৩শ শয্যা হাসপাতালের সামনে একটি চিপা গলির মাথায় ওই বিক্ষোভের আয়োজন করলেও খুব অল্প সংখ্যক নেতাকর্মীদের দেখা মিলে এ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে।মহানগর যুবদলের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন মন্তুর সভাপতিত্বে এ বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু।বক্তারা বলেন,বিএনপি নেতাকর্মীরা হাসতে হাসতে কারাবরণ করছে। এ সমাবেশে যে সমস্ত নেতাকর্মীরা উপস্থিত আছেন, তাদের সকলের বিরুদ্ধেই ৩০-৪০টি মামলা রয়েছে। এসব মামলা কোন বিষয়ই নয়। তবে পুলিশের এ মামলা হামলাকে তারা (যুবদল) ভয় পায়না। বিএনপি ও এর সকল অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মানুষিকভাবে প্রস্তুত আছে যে কোন সময়, যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য।তবে বক্তব্য শেষ হওয়ার পর পরই পাল্টে গেলো তাদের বিক্ষোভের চিত্র। তখন তাদের জ¦ালাময়ী বক্তব্যের কোন বাস্তবতাই খোঁজে পেলো না বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করা নেতাকর্মীরা। বক্তব্যে অনেক বড় বড় কথা বললেও বাস্তবে অনেকটা লেজ নামিয়েই কর্মসূচির সমাপ্তি টেনেছেন তারা।
বক্তব্য শেষে আজাদপন্থি মহানগর যুবদলের নেতারা একটি বিক্ষোভ মিছিল করলেও মিছিলটি হাসাপাতালের গন্ডি পেরুতেই পারলো না। চিপা গলি থেকে মিছিলটি বের করে মেইন রোডের কাছাকাছি আসার পর পুলিশ দেখেই মিছিলের সমাপ্তি টানে মহানগর যুবদলের সাধারন সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সজল। অথচ পুলিশ তাদের মিছিলে কোন প্রকারই বাধা দেয়নি। টহলরত পুলিশ সদস্যরা বটতলার সামনেই অবস্থান করছিলেন। মিছিল থেকে পুলিশের দিকে মহানগর যুবদলের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন মন্তু ও সাধারন সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সজলের চোঁখ যাওয়ার সাথে সাথে কর্মসূচির সমাপ্তি টেনে ব্যানার গুটিয়ে ফেলেন তারা।এদিকে মহানগর যুবদলের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের এমন ভীতুর পরিচয় দেওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মহানগর যুবদলের অনেক নেতারা। অনেক যুবদলের নেতাকর্মীকে ‘এটা কোন কথা হলো, নিজেদেরই লজ্জা করছে’ মন্তব্য করতে দেখা গেছে। তাদের সাথে কথা বলতে চাইলে অনেকেই এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে অনেক নেতাই আবার নিজেদের ক্ষোভ ধরে রাখতে পারেন নি। তারা বলেন, মুখে আমাদের নেতাদের অনেক ফোটানি আছে, কিন্তু বাস্তবে তারা ভীতুর ডিম। পুলিশ দেখেই যদি তারা কর্মসূচি শেষ করে দেন, তাহলে ভবিষ্যতে তাদের কি হবে? আসলে তারা দলকে ডুবাচ্ছে। এগুলোরে বাদ দিতে হবে। নয়তো, দল কখনোই আলোর মুখ দেখবে না।