দৈনিক তালাশ.কমঃ মাহবুব আলম-সাধারণ মানুষ বলছে, হাঁটু পানিতেই নাকি ডুবে মৃত্যু তাই অপমৃত্যুর মামলা ছাড়া উপায় নাই!। ওসি শ্যামল দত্ত কিছুতেই হত্যা মামলা করতে দিলেন না!।
পিবিআই বলেন, “আমরা পানির মানুষ আমরা জানি, মাছও মরে ভেসে উঠলে তার মুখ খোলা থাকে, পাকস্থলি আর মুখ পর্যন্ত রাস্তাটা দিয়ে পানি যাওয়া আসা করে, পানিতে ডুবে মরলে চোখ আধো তাকিয়ে থাকে, কিন্তু যেনো ফেটে বেরিয়ে আসবে, রক্ত জমাট বেঁধে যায় কিন্তু এই লাশ দুটারই চোখ মুখ বন্ধ ছিলো! আর রিপন তালুকদারের লুঙ্গির উপর নীচে দুটো কঠিন শক্ত গিট্ঠু লাগালো ছিলো, কোনো পাগলেও লুঙ্গির উপরে নীচে গিট্ঠু দিয়ে পানিতে নামে? তাহলে রিপনের লুঙ্গির ওই গিট্ঠু দুটির রহস্য কি?। পুলিশ চড়ে বসে নীচের গিট্ঠুটা খুলতে পারলেও কোমড়ের গিট্ঠুটা পুলিশ তো ভালো কথা হাসপাতালও খুলতে পারে নি! তাঁর প্রমান লুঙ্গিটা খোলা হয়েছে গিট্ঠুটা কাঁচি দিয়ে কেটে, লুঙ্গিটা আমাদের কাছেই আছে। ওদিকে ওসি সাহেব শুধু হুমকি ধামকি দিয়ে আমাদের দমিয়ে রাখলেন। আর তিনি না জানলেও আমরা জানি রিপন তালুকদারের হত্যাটা একটা ধারাবাহিক হত্যা। কোনো পাগলেও কি কখনও লুঙ্গির উপরে নীচে গিট্ঠু দিয়ে পানিতে নামে? আবার সাথে আদরের ছেলেটাও! একমাত্র ভবিষ্যৎ ওয়ারিশ। আশিকের যাবার কথা ছিলো না, তাঁর মৃত্যুটা আরো কষ্টের কিন্তু কষ্ট পায় নাই ওসি সাহেব। সারারাত রিপনের লাশটারে ফাঁড়িতে ফেলে রাখলো সকাল দশটা/এগারোটা পর্যন্ত।” একটা ক্লাস নাইনে পড়ুয়া ছোট্ট মেয়ে প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলে, “ওদিকে দেখি কাগজে লিখছে লাশ হাসপাতালে ডিসপাস করছে ২৩:৫৫মিঃ অর্থাৎ রাত ১১:৫৫মিঃ!। ভুঁইয়া বাড়ির এক লোককে ওপারেও এক মেম্বার(ফাঁড়িতে সবাই ভালোবাসে) বলেন, “ওসি শ্যামল দত্ত শত শত লোকের চোখের সামনে বসে ইচ্ছা খুশী মতো একটা মারাত্মক চক্রের সিরিজ মার্ডারকে ছয়/সাত লাখ টাকার বিনিময়ে অপমৃত্যু মামলা করতে বাধ্য করলেন, আমরা শুধু দেখলাম তার সামনে কেউ কথা বলতে পারে না, থানায় তাঁর একনায়কতন্ত্র চলে, সিনামার মতো, তোমরা তো যাও না। প্রথম হত্যা হইলো আমাদের এপার থেকে রিপনের শ্বশুর ভালো মানুষ, এরপরে রিপন, এখন একটা জিনিস তো আমরা দেখছিই যে এই মার্ডার দুটোতে কারোই কোনো ক্ষতি ছাড়া লাভ হয় নাই, শুধু মাত্র আন্জুমানারা ও তাঁর মামা লিটনই লাভবান, আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ।