দৈনিক তালাশ.কমঃ নওগাঁ প্রতিনিধ:নওগাঁর আত্রাই উপজেলায় মা ও মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে উপজেলার জামগ্রামে (বাঁধপাড়া গ্রাম) নিজেদের ঘর থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ দুজন হলেন ওই গ্রামের ভ্যানচালক আরিফুল ইসলামের স্ত্রী সাবিনা আক্তার (২৮) ও তার মেয়ে আফরোজা খাতুন (১০)। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বিকেলে নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।-
গ্রামবাসীর অভিযোগ, গত বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাবিনার ছাগল তার প্রতিবেশী রেখার উঠানের কিছু গাছের ক্ষতি করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রেখা ছাগলটি আটকে রাখেন। পরে ছাগল আনতে গেলে সাবিনাকে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন সাবিনা। এরপর সাবিনা ও রেখার মধ্যকার বিরোধ মেটাতে শুক্রবার রাতে গ্রামে সালিশ ডাকেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য (মেম্বার) রুহুল আমিন সোহাগ। সেখানে রেখার পক্ষ নিয়ে সাবিনা ও তার শিশু সন্তানকে অভিযুক্ত করা হয়।এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে সাবিনা নিজের সন্তানকে নিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন বলে অভিযোগ উঠেছে।তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য রুহুল আমিন সোহাগ দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘শুক্রবার রাতের বৈঠকে রেখার পক্ষ নেওয়া হয়নি। সেখানে সাবিনার পক্ষেই কথা বলার জন্য গিয়েছিলাম। তার পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের উপস্থিতিতে সালিশ হয়। ওই মুহূর্তে রেখা-সাবিনার হাত মেলানোর মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়। এরপর দিনে শুনতে পাই, সাবিনা তার মেয়েকে নিয়ে একই দড়িতে ফাঁস দিয়েছেন।’এ বিষয়ে আত্রাই থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেকুর রহমান সরকার বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’ওসি আরও বলেন, ‘নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেননি। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ খুঁজতে তদন্ত চলছে। তদন্তে গত রাতের সালিশের বিষয়টিও গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।
উজ্জ্বল কুমার সরকার
নওগাঁ।