দৈনিক তালাশ.কমঃশুক্রবার (৮সেপ্টেম্বর) সকালে ফতুল্লা মডেল থানার ধর্মগঞ্জ চতলার মাঠ এলাকার এ ঘটনা ঘটে। দুপুরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যায়।
নিহত আল আমিন ভান্ডারি পিরোজপুর জেলার দক্ষিণ পুকুরিয়ার হারুনুর রশীদের ছেলে। তিনি পেশায় একজন কবিরাজ ছিলেন এবং তৃতীয় স্ত্রী ও প্রথম সংসারের ছেলেকে নিয়ে ধর্মগঞ্জ চতলার মাঠ এলাকার মৃত তৈয়ুবআলী মেম্বারের বাড়ির নিচ তলায় ভাড়ায় বসবাস করতেন।
নিহতের ভাই আলিম শেখ জানান, তার বড় ভাই আল আমিন ভান্ডারি বর্তমানে কবিরাজি করলেও এক সময় জাহাজে বাবুর্চির কাজ করতেন। তিন বছর আগে জাহাজের চাকরি ছেড়ে দিয়ে নোয়াখালি তার শ্বশুর বাড়ি এলাকায় বসবাস শুরু করেন। দেড় বছর আগে তিনি ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ চতলারমাঠ এলাকায় এসে বসবাসের পাশাপাশি কবিরাজি শুরু করেন। জাহাজে চাকরি করাকালীন একই জাহাজে কর্মরত হাফেজ মাস্টার নামের একজনের সাথে তার ভাইয়ের পরিচয় হয়। সেই সূত্র ধরে হাফেজ মাস্টার প্রায় সময় তার ভাইয়ের কাছে আসতেন এবং রাত্রি যাপন করতেন। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে হাফেজ মাস্টার তার ভাইয়ের কাছে আসেন। সাথে একটি কালো ব্যাগও ছিল। তখন তার ভাই নিহত আল আমিন ভান্ডারি স্ত্রী ও ছেলেকে পাশের রুমে ঘুমানোর জন্য বলেন। রাত ৪টার দিকে নিহত আল আমিন ভান্ডারি তার স্ত্রীকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে ভাত নিজ রুমে দিতে বলেন সাথে সেমাই রান্না করে নিয়ে আসতে বলেন। রান্না করা ভাত এবং সেমাই খেয়ে আল আমিন ভান্ডারি নিজ রুমের দরজা লাগিয়ে হাফেজ মাস্টারকে নিয়ে শুয়ে পড়েন। সকাল ৮টার দিকে নিহতের স্ত্রী দরজা খোলা দেখতে পেয়ে উঁকি মেরে দেখেন নিহতের রক্তাক্ত লাশ খাটের উপর পড়ে রয়েছে।
তিনি আরো জানান, তার ভাইয়ের সাথে থাকা হাফেজ মাস্টার ৪টার পরে কোনো এক সময়ে তার ভাইকে গলাকেটে হত্যা করে পালিয়ে গেছে। হাফেজ মাস্টার সাথে করে নিয়ে গেছে তার ভাইয়ের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আযম মিয়া (পিপিএম) জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনসহ ঘটনার সাথে জড়িত খুনিকে গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে বলে তিনি জানান।