দৈনিক তালাশ.কমঃ যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন পলাতক আসামি আব্দুল মান্নান ওরফে রফিক মাতুব্বর’কে ২৯ বছর পর ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০।
গতকাল ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক ২০:৪০ ঘটিকায় র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং র্যাব-৪ এর সহযোগীতায় ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা থানার মামলা নং-০২, তারিখ-০৭/০৬/১৯৯৪ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/৩৪ দন্ড বিধি। উক্ত চাঞ্চল্যকর ভাগ্নের হাতে নৃশংসভাবে মামা হত্যা মামলায় বিজ্ঞ আলাদত কর্তৃক যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত ও ২,০০০/- (দুই হাজার) টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ (ছয়) মাসের শ¯্রম কারাদন্ডে দন্ডিত সাজা ওয়ারেন্টভুক্ত দীর্ঘদিন পলাতক আসামি আব্দুল মান্নান (৫২), পিতা-আমিন উদ্দিন, সাং-গোপীনাথপুর, থানা-ভেড়ামারা, জেলা-কুষ্টিয়া’কে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি উক্ত মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বলে স্বীকার করেছে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, গত ০৭/০৬/১৯৯৪ ইং তারিখ আনুমানিক ১০:৩০ ঘটিকায় গ্রেফতারকৃত আসামি আব্দুল মান্নান তার আপন ছোট ভাই মোঃ নান্নু এর সাথে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হয়। পরবর্তীতে একই তারিখ আনুমানিক ১৩:৩০ ঘটিকায় আব্দুল মান্নান এর আপন ছোট মামা ভিকটিম মৃত ওসমান খামারু (২৫), পিতা-মৃত পঁচা খামারু, সাং-গোপীনাথপুর, থানা-ভেড়ামারা, জেলা-কুষ্টিয়া, ভাইয়ে ভাইয়ে ঝগড়া বিবাদ মেটানোর জন্য তাদের বাড়িতে আসে। ভিকটিম ওসমান ধৃত আব্দুল মান্নান এর বাড়িতে আসার সাথে সাথেই আব্দুল মান্নান তার মামার দিকে ধারালো বর্শা ছুড়ে মারে। অতঃপর উক্ত ধারালো বর্শা ভিকটিম মৃত ওসমান এর বুকের বাম পাশ ভেদ করে এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে যায়। যার ফলে ওসমান ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। উক্ত হত্যাকান্ডের পর মৃত ওসমান এর পরিবারের লোকজন কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা থানায় গ্রেফতারকৃত আসামি আব্দুল মান্নান এর বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা রুজুর পর থেকে আব্দুল মান্নান দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারন করে আত্মগোপন করেছিল। সর্বশেষ ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানাধীন বাবলাতল এলাকায় নিজের নাম ও পরিচয় গোপন করে ভুয়া পরিচয় ধারণ করে বিবাহ করে স্থায়ীভাবে বসবাস করে আসছিল বলে জানা যায়।