দৈনিক তালাশ.কমঃ সেলিম মাহবুব,সিলেটঃশোকাবহ আগষ্টের শেষ দিন ৩১ আগষ্ট দোয়ারাবাজারে আওয়ামীলীগের শোকসভা, দোয়া মাহফিল ও গণভোজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ-৫ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য শামীম আহমদ চৌধুরী। উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার দুপুরে দোয়ারাবাজারে উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক, ইউপি চেয়ারম্যান শামীমুল ইসলাম শামীমের সভাতিত্বে ও উপজেলা যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গির আলমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত শোকসভায় শামীম আহমদ চৌধুরী বলেন, এ দেশের উন্নয়নকে একটি অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। পক্ষান্তরে স্বাধীনতা বিরোধিদের নিয়ে দেশকে আফগানিস্তান বানাতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বিএনপি। দেশের ঈর্ষণীয় উন্নয়ন দেখে বিএনপি-জামাতের গাত্রজ্বালার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশকে নেতৃত্বশূন্য করতে স্বাধীনতা বিরোধি চক্র ১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্ট স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্ব-পরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। একই ধারাবাহিকতায় বিএনপির নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর তনয়া শেখ হসিনাকে হত্যা করতে ২১ আগষ্ট আওয়ামীলীগের শান্তি সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করা করা হয়। তিনি নেতাকর্মীদের হুশিয়ার করে বলেন, এসব ষড়ন্তকারী স্বাধীনতা বিরোধিরা কৌশলে দলে অনুপ্রবেশ করে ঘাপটি মেরে আছে। সম্প্রতি দেশজুরে দলে অনুপ্রবেশকারী জামাত-বিএনপিদের চিহ্নিত ও দল থেকে বহিস্কারের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ছাতকেও কয়েকজনকে চিহ্নিত করে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। নেতা-কর্মীদের আশ্বস্থ করে বলেন, ছাতক দোয়ারায় জামাত-বিএনপিকে রক্ষাকারী নেতার অবশ্যই পতন হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বিশ্বাসকারী প্রকৃত মুজিব সৈনিকরাই এ অঞ্চলের নেতৃত্ব দেবে। প্রধান অতিথি শামীম আহমদ চৌধুরী বলেন, ভারত মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে। তাদেরকে খাওয়া-পরা দিয়েছে। অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করেছে ও ট্রেনিং দিয়েছিল। সে সময়ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিরোধিতা করেছে। আর জিয়াউর রহমান পেছন দরজা দিয়ে ক্ষমতায় এসে দেশের মেধাবী ছাত্রদেরকে নিয়ে নৌ-বহরের নামে মাদকাসক্ত, টেন্ডারবাজি, অস্ত্রবাজি শিখিয়েছিলেন। তারা নৌ-বহর থেকে ফিরে সরাদেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। জিয়াউর রহমান হ্যাঁ-না ভোটের নামে জাতির সঙ্গে তামাশা করেছেন। তারই সন্তান তারেক রহমান কোনো লেখাপড়া করেনি। কোনো বিদ্যালয়ে বা কলেজ থেকে শিক্ষাসনদ অর্জন করেননি। তিনি বিদেশে বসে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তিনি আরও বলেন বিএনপি-জামাত আবারও দেশকে অস্থিতিশীল করার পায়তারা করছে। দেশে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের রোল মডেল দেখে বিএনপি-জামাত ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। কুলাংঙ্গার তারেক জিয়া জামাতকে নিয়ে সাড়া দেশে জঙ্গি আস্তানা তৈরি করেছিল। জিয়াউর রহমান দেশে কার্ফু দিয়ে জেলখানা সৃষ্টি করেছিলেন। তিনিই খুন, ষড়যন্ত্র এবং গুমের রাজনীতি শুরু করেছিলেন। আবার তিনিই বিনা বিচারে সৈনিকদের কে খুন করেছেন। জিয়ার শাসন ছিল এদেশে বিভীষিকাময়। কিন্তু এখন সে সময় নেই। দেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে। দেশ এখন স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। জনগণ চাইছে আওয়ামীলীগকে। দেশের মানুষ শান্তি চায়, তারা শান্তিতে ঘুমাতে চায়-এ কারণে জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকায় আবারও ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ছাতক উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক, সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য আজমল হোসেন সজল, ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক জহিরুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান রোটারিয়ান এম আবুল হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা হাজী জয়নাল আবেদীন তালুকদার, আওয়ামীলীগ নেতা রেজা মিয়া তালুকদার, পৌর কাউন্সিরর হাজী নাজিমুল হক, জেলা শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গির আলম রফিক, আওয়ামীলীগ নেতা হাবিবুর রহমান শেখচান, শফিকুল ইসলাম রতন, ডাঃ আব্দুস সামাদ। সদর আওয়ামীলীগের সভাপতি মাওলানা আব্দুল মজিদ। সভা শেষে একটি শোক র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি দোয়ারাবাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে। এসময় ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল শামীম, আজাদ মিয়া, রায়হানুল হাসান রবিন, সদস্যা জয়তুন নেছা, বীরঙ্গনা কাকন বিবির কন্যা ছকিনা খাতুন, কৃষকলীগ নেতা বাবুল পাল, আওয়ামীলীগ নেতা প্রনয় কুমার আচার্য্য মুন্না, এবাদুল হক এমাদ, কামাল উদ্দিন, আফিক আলী, ডাঃ রেদওয়ানুল হক আরজু, হাজী জয়নাল আবেদীন, আনোয়ার হোসেন, আ ন ম আব্দুল হাই, সাবাজ আলী, সিকন্দর আলী, আব্দুল মমিন, রইছ আলী, মনোয়ার আলী মনর, আজমান আলী, দিলোয়ার হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহবায়ক প্রিয়তুষ দে চন্ডি, যুবলীগ নেতা কবির আহমদ, হোসেন মিয়া, সেলিম মিয়া, জাহাঙ্গির হোসেন, ফজলে রাব্বী জনি, মিসবাহ আহমদ মিছাক, রিয়াদ আহমদ চৌধুরী, আব্দুল কাদির তালুকদার, এখলাছ মিয়া, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা কামরুজ্জামান কাজল, মামুন মিয়া, জামায়েল আহমদ ফরহাদ, জাহাঙ্গির হোসেন, জুবায়ের আহমদ, সুজন মিয়া, ইউসূফ মিয়া, ছাত্রলীগ নেতা ফাইম আহমদ রুকন, আতাউল সানি, হুমায়ূন কবির রুবেল, রুবেল তালুকদার জনি, শাহ আলম বাছিত, রুবেল আহমদ, জাকির হোসেন, আল আমিন, ইকবাল হোসেন, সাজ্জাদ আহমদ, হাফিজুর রহমান, জাকির হোসেন, রফিকুল ইসলাম রুহেল, রানা আহমদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এসময় জেলা আওয়ামীলীগসহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।