দৈনিক তালাশ.কমঃ ১৪/৮/২০২৩ইং তারিখ সোমবার দোহার উপজেলা বিলাশপুর ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ডের মাঝির চর গ্ৰামের হাসমত মিস্ত্রীর পরিবারের উপর দিনেদুপুরে সন্ত্রাস বাজি হামলা চালায় মান্নান মেম্বার।
এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে ভুক্তভোগীরা
সরজমিনে তদন্ত করতে গেলে জানা যায়,
দুই প্রতিবেশীর মধ্যে জায়গা নিয়ে বাদ বিবাদ সৃষ্টি হয়।
এক পর্যায়ে মান্নান মেম্বার এক প্রতিবেশী রুমানা বেগমের পক্ষ নিয়ে ভুক্তভোগী হাসমত মিস্ত্রীর পরিবারকে অসামাজিক গালি গালাজ করে ও প্রান নাশের হুমকি দেয় মান্নান মেম্বার।
ভুক্তভোগী হাসমত মিস্ত্রী জানান, অনেক দিন আগে থেকেই মান্নান মেম্বার আমার বাবার পৈত্রিক সম্পত্তি জবর দখল করার চেষ্টা করে প্রতিবেশী রুমানার সাথে একজোট হয়ে । রাস্তা ঘাটে স্বাধীন ভাবে চলাফেরা করতে পারি না, সব সময় আতংকে থাকি তাদের নির্যাতনে।
একপর্যায়ে আমার বাড়িতে এসে দিনেদুপুরে অসামাজিক গালি গালাজ করে আমাকে, আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই মান্নান মেম্বার গায়ে হাত তুলে আমার।
আমার ছেলের বৌ প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁকে ও থাপ্পড় মারেন মেম্বার মান্নান। তৎক্ষণাৎ লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে আমার ছেলের বৌ কে।চার মাসের শিশু ছিল তাঁর কুলে ।
তিনি আরো বলেন, আমার ভাতিজাকে ও আঘাত করে আহত করে প্রতিবাদ করতে গেলে।
ভুক্তভোগী হাসমত মিস্ত্রী আরো বলেন,আমার বয়স ৬৫ বছর হবে । সে কি করে বাবার বয়সী লোকের গায়ে হাত তুলে,
একজন পরপুরুষ হয়ে অন্যের স্ত্রীর গায়ে হাত তুলে এইটা কি একজন আদর্শ মেম্বার করতে পারে খুবই দুঃখজনক। আমরা অসহায় মানুষেরা তো তাদের ভোট দিয়ে পাশ করাই আমাদের নিরাপত্তার জন্য।এ কেমন নিরাপত্তা জীবনের ভয়ে ঠিক মত চলাফেরা করতে পারি না। আমি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি সুবিচারের জন্য।
ভুক্তভোগী শাকিলা বলেন, আমার কুলে চার মাসের শিশু ছিল। আমি আমার শশুরের আত্ম চিৎকারে ছুটে আসি এবং প্রতিবাদ করি এজন্য আমাকে অশ্লীল গালি দেয় এবং থাপ্পড় মারেন মেম্বার মান্নান এরপর লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে আমাকে। আমরা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইমার্জেন্সি চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করি সেখানে ও আমাদের নানান ভাবে ভয়ভীত করে, নিরুপায় হয়ে আমরা আমাদের প্রানের আত্ম রক্ষার জন্য দোহার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি।
কিন্তু কোনো ভাবেই তারা থেমে যায় না এজন্য সরকারের কাছে সুবিচারের জন্য ঢাকা কোর্ট এ মামলা দায়ের করেন আমার শশুর।সি আর মামলা নং ২৩৮/২০২৩ইং
ধারা -৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩০৭/৩২৬/৩৫৪/৫০৬/৩৭৯/
৩৪।