দৈনিক তালাশ.কমঃবন্দরে পরকিয়া আসক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে দেওয়ানী মামলা করার জের ধরে ধামগড় ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাছুমের ভাগ্নিাসহ স্থানীয় সন্ত্রাসীরা শশুর বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে বসত ঘরে অগ্নিসংযোগের করার খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাত আড়াইটার সময়ে বন্দর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের হালুয়াপাড়াস্থ আড্ডা নামক এলাকায় এ অগ্নিসংযোগ করার ঘটনা ঘঠে। এ ঘটনায় জসিম (২৮) নামে এক আহত হয়। অগ্নিসংযোগ করার খবর পেয়ে কামতাল তদন্ত কেন্দ্র পুলিশ দুই দফা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ শ^শুর শাহজাহান মিয়া বাদী হয়ে শুক্রবার দুপুরে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ভুক্তভোগী শাহজাহান মিয়া জানান, প্রেমের সম্পর্কে পাশ্ববর্তী দশদোনা গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে আমজাদের সঙ্গে আমার মেয়ে সাথী আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আমজাত পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ে। এবং বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে নির্যাতন করতো।এর ধারাবাহিকতায় গত ১৮ আগষ্ট যৌতুকের টাকা আনতে সাথীকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এঘটনায় গত ১৯ আগষ্ট সাথী আক্তার বাদী হয়ে আমজাদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি যৌতুক মামলা দায়ের করা হয়। আদালতে এ মামলার খবর পেয়ে আমজাত ক্ষিপ্ত হয়ে তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে ১৯ আগস্ট রাতে বাড়িতে হামলা চালায় এবং আমার ছেলে ফারুককে কুপিয়ে জখম করে। এঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করায় ফের ক্ষিপ্ত হয়ে জামাতা আমজাত বৃহস্পতিবার রাত ৩ টার দিকে পেট্রল ছিটিয়ে বসত ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এ আগুনে পুড়ে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিসাধন হয়েছে। পৃথক পৃথকভাবে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ এ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী জানিয়েছে,মামলায় জিতার জন্য শাহজাহান মিয়া নিজের ঘরে নিজে আগুন দিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর এইচ এম মাহমুদ জানান, শশুরবাড়িতে বাড়িতে হামলার পর বসত ঘরে আগুন লাগানোর ঘটনায় পৃথক দুটি অভিযোগ পেয়েছি। দুইটি ঘটনায় এসআই আল ইসলাম ও এসআই মিজানুর রহমানকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আইনী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। আমজাদ গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।