নারায়নগঞ্জ হাই স্কুলে হেড মাষ্টারের নেতৃত্বে কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ

দৈনিক তালাশ.কমঃ দেশের প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল এন্ড কলেজে কোটি টাকার হদিস জানে না গভনিং বডির সদস্যরা।গত জানুয়ারি থেকে আগষ্ট মাস পর্যন্ত গভনিং বডির অনুমোদিত অর্থ কমিটির অনুমোদন ছাড়াই বিল ভাউচারের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক এ পর্যন্ত প্রায় এককোটি টাকা উত্তোলন করেছে ডাচ বাংলা ব্যাংক টান বাজার শাখা থেকে।

জানা গেছে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল ইসলাম ভুইয়া প্রতিমাসে বিভিন্ন চেকের মাধ্যমে এই টাকা স্কুলের নানান খরচের নামে উত্তোলন করছে। গত আট মাসে এ-ই টাকা কিভাবে উত্তোলন করা হয়েছে তার হিসাব জানা নেই। গভনিং বডির সদস্য ও অর্থ কমিটির সদস্য সরকার আলম জানান শিক্ষা বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী স্কুলের শিক্ষকদের বেতন ছাড়া তহবিল থেকে যে কোন টাকা খরচ করতে হ’লে অর্থ কমিটির অনুমোদন নিতে হয় এবং খরচের প্রতিটি ভাউচারে স্বাক্ষর নিতে হয়।তিনি জানান বর্তমান প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল হাসান ভুইয়া যোগদান করার পর থেকে টাকা খরচের ভাউচারে গত আট মাসে একটা খরচের ভাউচারেও আমার স্বাক্ষর নেয়নি। কি ভাবে স্কুলের টাকা খরচ হচ্ছে আমি বলতে পারবো না।চলতি বছরের জুন মাস চলে গেলেও এখন পর্যন্ত অডিট হয় নাই। অর্থ কমিটির অপর সদস্য এহসানুল হক নিপুর সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
এব্যাপারে গভনিং বডির সদস্য আবদুস সালাম জানান, তিনি গত কয়েক বছর অর্থ কমিটির সদস্য ছিলেন। গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত এ দায়িত্বে থাকা কালীন সময়ে সকল বিল তদন্ত করে অনুমোদন দিয়েছেন।এখন পর্যন্ত কোন অডিট আপত্তি হয় নি।তিনি জানান শিক্ষা বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী স্কুলের একটি টাকা খরচ করলেও সে টাকার ভাউচারে অর্থ কমিটির অনুমোদন প্রয়োজন হয়।এতো টাকা অর্থ কমিটির অনুমোদন না নিয়ে প্রধান শিক্ষক খরচ করতে পারে না।এ টাকা লুটে পুটে খেয়েছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক জানান শিক্ষকদের জন্য কোন কারন ছাড়াই ছয় লাখ টাকার শাড়ী,শার্ট,পেন্টের কাপড় কেনা হইছে। এ ছাড়া গভনিং বডির সদস্য ওয়াহিদ সাদাত বাবু জানান গভনিং বডির কোন সভায় গত আট মাসের খরচের হিসেবে অনুমোদন নেয়া হয়নি। এব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল ইসলাম ভুইয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান সভাপতির স্বাক্ষর নিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে খরচ করা হয়।খরচের ভাউচার হিসাব বিভাগ তৈরি করে থাকে। তিনি জানান স্কুলের প্রয়োজনে টাকা খরচ করা হয়।তবে এ পর্যন্ত অর্থ কমিটির অনুমোদন ছাড়া কতো টাকা খরচ করা হয়েছে তিনি বলতে না পারলেও জানান ৬০/৭০ লাখ টাকা হবে। এ খরচ কমিটির সকল সদস্য না জানলেও সভাপতি চন্দন শীলকে জানানো হয়। তিনি জানান অর্থ কমিটির অনুমোদন নেয়ার বাধা বাধকতা থাকলেও এখন পর্যন্ত তাদের অনুমোদন নেয়া হয়নি এটা ভুল হয়েছে বলে তিনি জানান। অডিটের আগে স্বাক্ষর করানো হবে। প্রায় কোটি টাকা কমিটির অনুমোদন ছাড়া তিনি কি ভাবে খরচ করলেন জানতে চাইলেে তিনি বলেন এর জবাব কমিটির মিটিংয়ে দিবেন।
পরিচালনা পরিষদের সভাপতি চন্দন শীলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান স্কুলের টাকা খরচের হিসাব প্রধান শিক্ষক বলতে পারবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *