দৈনিক তালাশ.কমঃ বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসা এবং সরকারের পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের ১দফা দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ নগরীতে শান্তিপূর্ণভাবে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে মহানগর বিএনপি।
শনিবার ( ১৯ আগষ্ট ) বিকেল চারটায় নগরীর খানপুর হাসপাতাল রোড থেকে এই পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু করে মহানগর বিএনপি। পদযাত্রাটি খানপুর থেকে শুরু করে মেট্রো মোড় ঘুরে মিশন পাড়া দিয়ে চাষাড়া চত্বরে ঘুরে বিবি রোড় হয়ে গ্ৰীনেজ ব্যাংকের মোড় দিয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে সমাপ্ত হয়।
এসময়ে পদযাত্রা কর্মসূচিতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিকদল, মহিলা দলসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যানার ফেস্টুন সুসজ্জিত হয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই ও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে।
নারায়ণগঞ্জ বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান সভাপতির বক্তব্যে বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। এ সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিবে না। এই সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে ভয় পায়। তাই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আমাদেরই মুক্ত করে আনতে হবে। আজকের এই পদযাত্রা কর্মসূচি থেকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।
তিনি আরও বলেন, আজকে এই সরকার দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আজকে দেশের মানুষের যে চরম অবস্থা। বিচারক অঙ্গনে বিচার নাই। প্রশাসনের কাছেও বিচার নাই। আজকে দেশের মধ্যে দুর্ভিক্ষ চলছে। দুর্নীতি করতে করতে এ দেশকে সরকার চরম বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। দেশ আজ দুর্ভিক্ষের কবলে। দেশকে দুর্ভিক্ষের কবল থেকে মুক্ত করতে হলে আমাদের এক দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করাতে হবে। এবং এই সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার যদি সঠিক চিকিৎসা না হয়। আর যদি তাকে নিঃশর্ত মুক্তি না দেওয়া হয়। আর যদি তার কোন আনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে তাহলে শেখ হাসিনা ওয়াজেদ তুমিসহ তোমার পরিবার ও মন্ত্রিপরিষদের সবাইকে আসামি করা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না হবে না হবে না।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু’র সঞ্চালনায় পদযাত্রায় আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এড. জাকির হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক মনির হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন আনু, ফতেহ মো. রেজা রিপন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. রফিক আহমেদ, ডা. মজিবুর রহমান, মাসুদ রানা, হাবিবুর রহমান দুলাল, এড. এইচএম আনোয়ার প্রধান, বরকত উল্লাহ, হাবিবুর রহমান মিঠু, শাখাওয়াত ইসলাম রানা, মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, শাহিন আহমেদ, কামরুল হাসান চুন্নু সাউদ, ফারুক হোসেন, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মমতাজ উদ্দিন মন্তু, সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজল,মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম, সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, বন্দর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ লিটন, বন্দর থানা বিএনপি’র সভাপতি শাহেনশাহ আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানা, বিএনপি নেতা শেখ সেলিম, আলমগীর খান চঞ্চল, নজরুল ইসলাম সরদার, কাজী নাঈম, মহিউদ্দিন শিশির, নজরুল ইসলাম সরদার, আবুল হোসেন রিপন, শেখ আঞ্জুম আহম্মেদ রিফাত, সাইফুল ইসলাম বাবু, হিরা সরদার, ইকবাল হোসেন, সোহেল খান বাবু, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাগর প্রধান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি, সাহেদ আহমেদ, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহাদুল্লাহ মুকুল, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, গোগনগর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়াজী, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আঃ রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি জুলহাস সরদার, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তাঁরা মিয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদ, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার, সাধারণ সম্পাদক মহসিন মিয়া, মদনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মামুন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক শাহেন শাহ্ মিঠু, বন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রাজু আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, কৃষক দল নেতা আক্তার হোসেন সবুজ, মনোয়ার হোসেন সোহেল, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান বাবু, মহানগর জাসাসের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাধীন, মহানগর মহিলা দলের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর, সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাদাত আলম রতন, সাধারণ সম্পাদক রাহিদ ইসতিয়াক শিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রাসেল, মহানগর ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ মামুনসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।