দৈনিক তালাশ.কমঃসেলিম মাহবুব, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের মহিলা ইউ/পি সদস্যার সাথে প্রতারণা করে মাটির রাস্তার কাজের বিল উত্তোলন করে টাকা আত্মসাৎ ও একলক্ষ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় প্রাণনাশের হুমকি ও হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ পৌর-বিপনীন্থ ২য় তলায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় । সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী জয়কলস ইউনিয়নের ৪,৫,৬নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য তৈয়বুন নেছা, তিনি লিখিত বক্তব্য উল্লেখ করে জানান সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের ৪,৫,৬নং ওয়ার্ড মহিলা ইউপি সদস্য তিনি। উপজেলার শিবপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার কোন স্বামী সন্তান না থাকায় মানব সেবাকে প্রধান ব্রত মনে করে ইউ/পি সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে তিনি ইউ/পি কর্তৃক সরকার প্রতিটি ইউনিয়নে কর্মসৃজন প্রকল্পের আওতায় কাঁচা রাস্তা মাটি ভরাটের কাজের উন্নয়ণ করে যাচ্ছেন এবং এসমস্ত কাজ ইউনিয়নের সদস্যদের মধ্যে বিতরণের মাধ্যমে বরাদ্দ দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে ইউপি সদস্যা হওয়ায় তাকে ৬নং ওয়ার্ডে একটি মাটি বরাটের কাজ দেওয়া হয়। যা যথা সময়ে কাজ সম্পূর্ণরুপে শেষ করেছেন। তিনি বলেন তাকে কাজ দেওয়ার পর হইতে ৬নং ওয়ার্ডের কিছু অসাধু স্বার্থলোভী, চাঁদাবাজ মিলে তার নিকট বিভিন্ন সময়ে চাদাঁ দাবী করে। তাদের এলাকায় কাজ করাতে হলে তাদেরকে চাঁদা না দিয়ে কোন কাজ করাতে পারবেনা বলে হুমকি দামকী দিয়ে আসছে। তিনি বলেন আমি চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় গত ৫জুন উপজেলার শিবপুর গ্রামের কাচাঁ মিয়ার বসতবাড়ীর সম্মূখে কাজের সাইটে কাঁচা রাস্তায় তার কাছে এসে একই গ্রামের মৃত চমক আলীর পুত্র জসিম উদ্দিন(৪৫), মৃত: মছদ্দর আলীর পূত্র মঈনুদ্দিন(৪২), আঃ জব্বারের ছেলে রুবেল(৩৪) ও অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩জন মিলে নগদ এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে । এসময় তিনি চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে প্রকাশ্যে দিবালোকে তাকে প্রাণে হত্যার হুমকি দেয় এবং চাঁদাবাজদের দাবীকৃত একলক্ষ টাকা চাঁদা না দিলে কিভাবে তিনি কাজের বিল পান তা দেখে নেবে বলেও হুমকি দিয়ে তাকে মারার চেষ্টা করে। এসময় আশপাশে লোকজন থাকায় তিনি চাাঁদাবাজদের কবল থেকে রক্ষা পান বলে জানান। পরবর্তীতে চাঁদাবাজরা মিলে ফেইসবুকে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে হেনাস্তা করে। অবশেষে তিনি ন্যায় বিচারের স্বার্থে গত ১৩ই জুন আমল গ্রহণকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, শান্তিগঞ্জ জোনে হুমকিদাতাদের আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-সি.আর মামলা নং-১৫৪/২০২৩ইং । বর্তমানে মামলাটি আদালতে চলমান রয়েছে বলে জানা যায়। মামলা করার পর থেকেই চাদাঁবাজরা মিলে ও অজ্ঞাত নামা কয়েকজন তৈয়বুন নেছাকে ক্ষতি সাধনের জন্য শান্তিগঞ্জ উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা(পিআইও)”র নিকট মিথ্যা, বানোয়াট, কাল্পনিক অভিযোগ করে পিআইওকে ভুল বুঝিয়ে বর্তমানে তার সকল প্রকার কাজ হইতে বিরত রাখে। পি আই ও চাঁদাবাজদের কথা বিশ্বাস করে সরেজমিনে না গিয়ে এক তরফা ভাবে হেনেস্তা করে চলেছেন বলেও জানান ঐ সদস্যা। তিনি আরও বলেন এদিকে আমি সহজ সরল হওয়ার সুবাদে প্রকল্প কাজের সভাপতি ডুংরিয়া গ্রামের মৃত সচিন্দ্র দাসের ছেলে রিপন তালুকদার তিনি হুমকিদাতাদের সাথে আতাত করে সাদা কাগজে আমার স্বাক্ষর নিয়ে ২টি কাজের বিল ২ লাখ টাকা উত্তোলন করে কাজের টাকা আত্মসাধ করে নিয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে আমাকে রাস্তায় একা পেয়ে চাঁদাবাজরা হুমকি দিয়ে আসছে । যেকোন সময় নামাংকিত বিবাদীদের দ্বারা আমার বড় ধরণের ক্ষতি সাধন হতে পারে। তাই আজ অসহায় হয়ে নিরাপত্তার জন্য সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করি। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ মিয়া, জুবায়ের হোসেন সাগর এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রুবেল ও জসিম মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান ঐ মহিলা আমাদের তিনজনকে আসামী করে মামলা করেছেন। এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা (পি,আই,ও) শাহদৎ হোসেন ভূইয়া আমার কাছে অভিযোগ এসেছে বিষটি তদন্ত চলছে আমরা কারও পক্ষ না অফিসের কার্যক্রম অফিসের মতো চলবে।