দৈনিক তালাশ.কমঃছাতকে উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচীর এবং ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীরা কালো ব্যাজ ধারন শেষে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক, ছাতক পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম চৌধুরী, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক, কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী শামীম আহমদ চৌধুরীর নেতৃত্বে দলীয় নেতা-কর্মীরা সকালে পৌরসভা চত্ত্বরে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্প স্তোবক অর্পন করা হয়। বিকেলে শহরের মন্ডলীভোগস্থ দলীয় অস্থায়ী কার্যালয়ে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য, ছাতক-দোয়ারার ছাত্র যুবকদের আইডল, আসন্ন জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৫ আসনের আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্নেহভাজন শামীম আহমদ চৌধুরী। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু আমৃত্যু একটি গণতান্ত্রিক, প্রগতিবাদী ও অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন। ইতিহাসে যার স্থান সুনির্দিষ্ট ও স্বীয় মহিমায় সমুজ্জ্বল, তাকে অস্বীকারের মূঢ়তা বিভিন্ন সরকারের আমলে কম দেখানো হয়নি। এতে করে স্বল্পকালীন সুবিধা হাসিল করা গেলেও চূড়ান্ত বিচারে তা সফল হয়নি। বরং মৃত বঙ্গবন্ধু দিনের পর দিন হয়ে উঠেছেন আরও শক্তিশালী। জাতির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় অবদানই তাকে অজেয় করে রেখেছে। শোক সভায় তিনি আরও বলেন, জাতি আজ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। ৪৮ বছর আগে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর বিপথগামী একদল ঘাতকের হাতে তার নৃশংস হত্যাকাণ্ড ছিল জাতির ইতিহাসে এক বড় কলংক। দেশের স্থপতি ও নির্বাচিত রাষ্ট্রপ্রধানকে তার পরিবারের সদস্যসহ এমন ভয়াবহভাবে হত্যার ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে দেশ ও জাতিকে বিপথগামী করার অপপ্রয়াস চালানো হয় পরবর্তীকালে। হত্যাকারীদের বিচার থেকে রেহাই দিয়ে জারি করা হয় কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ। সেই অধ্যাদেশ বাতিলের পর দেরিতে হলেও বিচার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কয়েকজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। অন্যরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন দেশে পলাতক খুনিদের দেশে এনে তাদের শাস্তি কার্যকর করা হবে। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন তালুকদারের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক আজমল হোসেন সজলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, আওয়ামীলীগ নেতা হাজী আবুল হায়াত, ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা বাবুল পাল, দেওয়ান আবুল কালাম মাষ্টার, পৌর কাউন্সিলর ইরাজ মিয়া, হাজী নাজিমুল হক, শফিকুল ইসলাম, সাবেক কাউন্সিলর সুদিপ দে, আওয়ামীলীগ নেতা প্রনয় কুমার আচার্য্য মুন্না, এবাদুল হক এমাদ, আফিক আলী, কামাল উদ্দিন, সুন্দর আলী বুলবুল, জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আতাউল সানি, মাহির চৌধুরী প্রমূখ। সভা শেষে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। পরে দলীয় কার্যালয় থেকে বের করা হয় এক শোক র্যালী। র্যালীটি শহর প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষে হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা শাহীন মিয়া তালুকদার, লায়লু মিয়া, রাহয়ান তালুকদার, আব্দুল হামিদ, ফারুক মিয়া চৌধুরী, রাসেল হাসান, জাউয়া বাজার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রেজা মিয়া তালুকদার, নোয়ারাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ডাঃআরজু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মমিন, উত্তর খুরমা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদ মিয়া মেম্বার, দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রুহুল আমীন তালুকদার, ইসলাম পুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী জয়নাল আবেদীন, সৈদেরগাও-গোবিন্দগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক, শ্রমিকলীগ নেতা স্বপন তরফদার, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মামুন মিয়া, কামরুল ইসলাম কাজল, লিটন মিয়া, জামায়েল আহমদ ফরহাদ, বিলাল আহমদ, জাহাঙ্গীর আলম, জুবায়ের আহমদ, শহীদুল হক, সুজন মিয়া, যুবলীগ নেতা মিসয়াক উদ্দিন মিসবাহ, সম্রাট চৌধুরী, সামিউল হক সানী, মাসুম মিয়া, সাহেদ মিয়া, রিয়াদ আহমদ চৌধুরী, আব্দুল কাদির তালুকদার, রুকন আহমদ, ফরহাদ মিয়া, নিজু আহমদ, ছাত্রলীগ নেতা হুমায়ুন কবির রুবেল, রুবেল তালুকদার জনি, শাহ আলম বাসিত, তোফায়েল আহমেদ তালুকদার, তাসরিফ আহমেদ, হাফিজুর রহমান, জাকির হোসেন, জুয়েল মিয়াসহ আওয়ামীলীগ ও যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।শোক সভার পরে কাঙ্গালিভোজের আয়োজন করা হয়।