দৈনিক তালাশ.কমঃসম্প্রতি বন্দরে যুবতী রুপাকে ধর্ষনের পর লোক লজ্জার ভয়ে আত্মহত্যা ঘটনার মামলার বাদিনী রানী বেগমকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে উল্লেখিত মামলার প্রধান আসামী পাভেলসহ তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত শনিবার (৫ আগষ্ট) দুপুরে মামলার বাদিনী রানী বেগম বাদী হয়ে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। আহত বাদিনী রিনা বেগম বন্দর উপজেলার বালিয়াগাও এলাকার রওশন জামাল মিয়ার স্ত্রী। এর আগে গত বুধবার ( ২ আগষ্ট) সকাল ১০টায় বন্দর উপজেলার চুনাভূরা এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানাগেছে, গত ১৪ মাস পূর্বে অভিযোগের বাদিনী মেয়ে রুপা বেগমকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক ভাবে নির্যাতনের পর ধর্ষন করে। ধর্ষনের বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে এ নিয়ে উল্লেখিত বিচার শালিসী হয়। বিচার শালিসী পর আমার মেয়ে রুপা লোকলজ্জার ভয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ব্যাপারে অভিযোগের বাদিনী ৯ জনকে আসামী করে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ স্থানীয় মেম্বার আব্দুল মোমেন কচিসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেন। ১ জন আসামী পালিয়ে বিদেশে আত্মগোপন করে। পরবর্তী সময়ে ৮ জন আসামী জামিনে মুক্তিলাভ করে। ১নং বিবাদী সকল বিবাদীগনদের কাছ থেকে মামলা অব্যহতি দেওয়ার কথা বলে অন্যান্য আসামীদের কাছ থেকে টাকা পায়সা আত্মসাত করে। উক্ত বিষয়টি জানতে পেরে মামলার বাদিনী গত বুধবার সকাল ১০টায় ১নং বিবাদীর বাড়িতে আসলে ওই সময় ১নং বিবাদী পাভেল ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযোগের বাদিনীকে বেদম ভাবে পিটিয়ে নিলাফুলা জখম করে পালিয়ে যায়।