দৈনিক তালাশ.কমঃবন্দরে হিন্দু সম্প্রদায়ের এক কাঁচামাল ব্যবসায়ী বসত বাড়িতে ডাকাতি ঘটনার র্দীঘ ১ মাস ১২ দিন পর অবশেষে সন্ত্রাসী নিরব (২৮)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতকে বৃহস্পতিবার (৩ আগষ্ট) দুপুরে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়। গত বুধবার (২ আগষ্ট) রাতে বন্দর রুপালী আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে বন্দর ফাঁড়ী পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত সন্ত্রাসী নিরব বন্দর রুপালী আবাসিক এলাকার আকরাম হোসেন মিয়ার ছেলে। এর আগে গত মঙ্গলবার (১৯ জুন) রাত আড়াই টায় থেকে ২টা ৫৫ মিনিটের মধ্যে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের সাবদীস্থ দীঘলদী এলাকায় এ ডাকাতি ঘটনাটি ঘটে। ওই সময় ডাকাত দলের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে লিখন বিশাস (১৮) নামে এক যুবকে রক্তাক্ত জখমসহ ২ ভড়ি ৪ আনা ওজনের বিভিন্ন স্বর্ণালংকার,নগদ ৫০ হাজার টাকা ও ৩টি এন্ড্রয়েট মোবাইল ফোন ডাকাতি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় কাঁচামাল ব্যবসায়ী চিত্তরঞ্জন বিশাস বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা ৮/১০ জন ডাকাতকে আসামী করে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ২২ (৬)২৩ ধারা- ৩৯৫/ ৩৯৭ পেনাল কোড-১৮৬০।
মামলার এজারহার সূত্রে জানাগেছে,গত সোমবার (১৮ জুন) রাত ১০টায় প্রতিদিনের মত রাতে খাবার খেয়ে কাঁচামাল ব্যবসায়ী চিত্তরঞ্জন বিশাস ও তার পরিবার যার যার রুমে ঘুমাতে যায়। সে সাথে পূর্ব পাশের দািক্ষন কনারে কাঁচামাল ব্যবসায়ী ছেলে লিখন বিশাসও ঘুমিয়ে পরে। মঙ্গলবার (১৯ জুন) রাত ২টা ৩০ মিনিট থেকে ২টা ৪০ মিনিটের মধ্যে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের সাবদীস্থ দিঘলদী এলাকায় কাঁচামাল ব্যবসায়ী বাড়িতে ৮/১০ জনের একটি মুখোশধারী ডাকাত দল উল্লেখিত ব্যবসায়ী পূর্বমুখী লোহার গেইট খুলিয়া ভিতরে প্রবেশ করে পূর্বমুখি বিল্ডিংএর কেচি গেইটের লক ভাঙ্গিয়া ভিতরে কাঠের দরজা ভাঙ্গিয়া ঘরে প্রবেশ করে। হঠাৎ শব্দ পেয়ে চিত্তরঞ্জন ঘুম থেকে উঠে দরজা খুলার সাথে সাথে অজ্ঞাত নামা ৮/১০ জন ডাকাত এসে ব্যবসায়ী চিত্তরঞ্জন বিশাসকে খাটের উপর ফেলে দেয়। পরে ডাকাত দল ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে গামছা দিয়ে দুই হাত ও প্লাস্টিকের রশি দিয়ে দুই পা বেধে ফেলে। ওই সময় বাড়ি মালিক চিৎকারের চেষ্টা করলে ওই সময় ডাকাত দল দেশী অস্ত্র দিয়ে হত্যার ভয় দেখায়। পরবর্তীতে ডাকাত দল আমার স্ত্রী কাছ থেকে আলমারী চাবি নিয়ে আলামারিতে থাকা জিনিস পত্র তছনছ করে কিছু না পেয়ে ব্যবসায়ী ছেলে রুমে প্রবেশ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলাপাথারী ভাবে কুপিয়ে জখম করে। পরে ব্যবসায়ী স্ত্রী হাতে থাকা ১ ভড়ি ওজনের একজোড়া পলা, ৮ আনা ওজনের কানের দুল, ৮ আনা ওজনের গলার লকেট ও ৪ আনা ওজনের ১টি আংটি, নগদ ৫ হাজার টাকা ও ৩টি এনড্রয়েট মোবাইল ফোন যা সর্বমোর্ট ৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকার মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায়। পরে রমারাত্মক জখম অবস্থায় আমার ছেলেকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢামেক হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক জানান, ডাকাতি ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারসহ ডাকাত দলকে গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে।