দৈনিক তালাশ.কমঃ বন্দরে রিয়াদসহ ২ যুবককে কুপিয়ে জখমের মামলার বাদিনী রিনা বেগমকে মামলার প্রত্যোহারের জন্য হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সদ্য জামিনপ্রাপ্ত আসামী সোহাগ ও রকিবসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মামলার বাদিনী রিনা বেগম বুধবার (২ আগষ্ট) বিকেলে বাদী হয়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সদ্য জামিনপ্রাপ্ত উল্লেখিত ২ আসামীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী এন্ট্রি করেন। যার জিডি নং- ৮৮ তাং- ২-৮-২৩ইং। এর আগে বুধবার (২ আগষ্ট) দুপুর ২টায় বন্দর নূরবাগ এলাকায় এ হুমকির ঘটনাটি ঘটে।
জিডি সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (২ আগষ্ট) বেলা ২টায় বন্দর থানার দায়েরকৃত ৯(৭)২৩ নং মামলার সদ্য জামিনপ্রাপ্ত আসামী জুয়ারী জব্বার মিয়া ও তার স্ত্রী শাহাজাদী ও তার ২ সন্ত্রাসী ছেলে সোহাগ ও রকিব একই এলাকার উকিল (বোসা) মিয়ার ছেলে ইয়াছিন ও একই এলাকার আকাশ মিয়ার ছেলে শফিকুল গংরা মামলা প্রত্যোহারের জন্য মামলার বাদিনীর মেয়েকে বেদম ভাবে পিটিয়ে নিলাফুলা জখম করে।পরে উল্লেখিত আসামীরা মামলা প্রত্যোহার না করলে মামলার বাদিনী নিরা বেগমকে হত্যার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
উল্লেখ্য, বাদীর ছেলে মোঃ রিয়াদ (২৮) না’গঞ্জ সিটি কর্পোরেশন থেকে বন্দর থানাধীন শাহীমসজিদ এলাকার বৌ বাজারের ইজার নেয়। উক্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে বিবাদীদের সাথে বাদীনির ছেলের পূর্ব হতে বিরোধ চলে আসছে। গত ৯ জুলাই রাত ৯ টায় বাদীর ছেলে ও তার বন্ধু রাজন (২৫) বন্দর বাস ¯ট্যান্ড নিলা জুয়েলার্সের সামনে পৌঁছা মাত্র পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র সহ সকল বিবাদীগণ বেআইনী জনতাবদ্ধে একত্রিত হয়ে বাদীর ছেলে ও তার বন্ধুর পথরোধ করে বাদীর ছেলেকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। বাদীর ছেলে বিবাদীদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে সকল বিবাদীগণ বাদীর ছেলে ও তার বন্ধুকে এলোপাথারী কিল ঘুশি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিালাফুলা জখম করে। এক পর্যায়ে ১নং বিবাদী সোহাগ (২৮) ২ নং বিবাদী ইয়াসিন (১৯) ত ৩ নং বিবাদী উজ্জল (৩৮) ৪ নং বিবাদী শফিকুল (২৭) ৫ নং বিবাদী লিমন (২৭) ৬ নং বিবাদী হাবিব হাসান (২৮) ৭ নং বিবাদী হোসেন (৩৫) তার হাতে থাকা এসএস পাইপ দিয়ে বাদীর ছেলেকে ও তার বন্ধুকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতারী কুপিয়ে রক্তাক্ত জথম করে। বাদীর ছেলে মাটিতে পরপ গেলে ৭ নং বিবাদী বাদীর ছেলের হাতে থাকা ২টি আংটি যার ওজন অনুমান ১ ভরি ৪ আনা যার মূল্য অনুমান ১ লাখ ১০ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। ৮ নং বিবাদী সবুজ (২৫) বাদীর ছেলের গলায় থাকা ২ টি রূপার চেইন, ২ টি রূপার বেসলাইট, যার মূল্য অনুমান ২০ হাজার টাকা ও বাদীর ছেলের সাথে থাকা নগদ ২৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়।