বন্দর থানা থেকে আসামি পলায়ন এজাহার পরিবর্তনের অভিযোগ রয়েছে 

বিষয়টি জানাজানি হলে নিজেদের দায় এড়াতে এবং মুল ঘটনা আড়াল করতে ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আবু বকর সিদ্দিক বেলা ১২ টার দিকে বাদী মহিউদ্দিন সিদ্দিকী সহ অন্যান্য ব্যাবসায়ীদের নিজ অফিসে ডেকে নিয়ে আইনী মারপ্যাঁচ সহ বিভিন্ন কৌশলে জোরপূর্বক পূর্বের এজাহার পরিবর্তন করে নিজেদের সুবিধামত লিখিয়ে নেয়। থানা পুলিশের এমন দায়িত্ব জ্ঞানহীন আচরণে উপস্থিত সকলেই হতবাক হয়ে পড়েন।

অভিযোগকারী মহিউদ্দিন সিদ্দিকী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,রোববার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে জনতা কর্তৃক ধুত ২ চোর রাজীব ও মিশাল কে থানায় নিয়ে যাই।কিন্তু ডিউটি অফিসার এসআই আহাদ আমাদের সঙ্গে চরম অপেশাদারি আচরণ করেন।পুলিশের গাফিলতির কারনে থানার ভেতর থেকে ১ জন চোর দৌড়ে পালিয়ে যায়।পরবর্তীতে বেলা ১২ টার দিকে ইন্সপেক্টর আবু বকর সিদ্দিক আমাকে তার অফিসে ডেকে নিয়ে আগের এজাহার পরিবর্তন করে দিতে বলেন।আমি আপত্তি করলেও এসআই সাইফুল ইসলাম পাটোয়ারী নতুন এজাহার প্রিন্ট দিয়ে আনে এবং স্বাক্ষর করতে বলে।একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে পরিবর্তিত এজাহের স্বাক্ষর করি।থানার ডিউটি অফিসারের কক্ষ থেকে আসামি পলায়নের বিষয় জানতে চাইলে এসআই আহাদ বলেন,অসাবধানতা বশত আটককৃত চোর মিশাল পালিয়ে গেছে।তবে তাকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।এ বিষয় জানতে চাইলে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান,আটককৃত চোর পালিয়ে যাওয়ার বিষয় জানা নাই। তবে বাদীর এজাহারের প্রেক্ষিতে মামলা রুজু করা হয়েছে এবং জড়িত আকাশ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক চোরদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *