প্রশাসন হাট বন্ধ করার পরেও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বন্দর থানায় ইজারাদারের জিডি

দৈনিক তালাশ.কমঃ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৫ নং ওয়ার্ডে লক্ষনখোলা বালুর মাঠে অস্থায়ী পশুর হাট বন্ধ করেছেন জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। হাটটি জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই নাসিক একক সিদ্ধান্তে সিডিউল বিক্রয় সহ ইজারাদারকে হত্যার চেষ্টা ও তার লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা সহ খুন করার হুমকির কারনে অস্থায়ী পশুর হাটটি বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। হাট বন্ধ করার কারনে নাসিক ২৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন ও তার বড় ভাই হেলাল হাজির নেতৃত্বে তাফসির, বাদল, মাঝারুল, নাজমুল ও সাদ্দাম
সহ অজ্ঞাত নামা আরো ১৫/২০ জন সংঘবদ্ধ চক্র গত ২২ জুন সন্ধ্যায় হাট সংলগ্ন এলাকায় ইজারাদার সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল মামুনের উপর হামলা সহ তিনি ও পরিবারের সদস্যদের খুন করার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় তিনি
২৩ জুন রাতে বন্দর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে হাটের ইজারাদার সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সিটি করপোরেশন কর্তৃক ২৫ নং ওয়ার্ডের লক্ষনখোলা বালুর মাঠে অস্থায়ী পশুর হাটের সিডিউল বিক্রয় করে।নিয়ম মোতাবেক সেই হাটটির সিডিউল সংগ্রহ করে সিডিউল জমা দেই।এবং গত ২০ জুলাই অনুষ্ঠানিক ভাবে নাসিক সিডিউল জমা এবং ওপেন করে।সেখানে ওই হাটের বিপরীতে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে আমি হাটের ইজারা পাই।আমার ঘোষণার পর কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন উত্তেজিত হয়ে আমাকে প্রান নাশের হুমকি দেয় এবং আমার সাথে থাকা এক আত্মীয় হালিম সাউদকে বাদল নামের এক সন্ত্রাসী দ্বারা মারধর করে।এরপর হাঁট দখল করে রাখলে মেয়রের দারস্থ হয়েও কোন সহযোগিতা পাইনি। সবশেষে উক্ত হাঁটটি জেলা ও উপজেলা প্রশাসন অবৈধ ঘোষণা করে বন্ধ করে দেয়।বর্তমানে আমি এখনো হুমকির মুখে রয়েছি।সেই সাথে আমার দাবী হলো সিটি করপোরেশনের আমার দেয়া ২৭ লক্ষ টাকা ফেরত সহ কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন গংদের গ্রেফতার সহ শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হোক।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুবক্কর সিদ্দিক জানান, ইজারকে কেন্দ্র করে আবদুল্লাহ আল মামুনকে হুমকি দেয় প্রতিপক্ষ।সে থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেছেন তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *