দৈনিক তালাশ.কমঃফতুল্লার ভোলাইলে তিন লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী নুপুর আক্তারকে (২৮) গলা কেটে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে স্বামী মো.কাদেরকে (৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় শুক্রবার (১৬ জুন) রাতে ঘটনার শিকার নুপুর আক্তারের মা মাজেদা বেগম বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে।
গ্রেফতারকৃত কাদের মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানার বালিদিয়ার মৃত মোজাম মোল্লার ছেলে।সে স্ত্রীসহ ফতুল্লা থানার উত্তর ভোলাইলের নাছিরের বাড়িতে সপরিবারে ভাড়ায় বসবাস করে আসছিল।
মামলায় উল্লেখ করা হয়,বাদীর মেয়ে নুপুর আক্তারের দ্বিতীয় স্বামী গ্রেফতারকৃত কাদের।অপরদিকে নুপুর আক্তারও কাদেরের দ্বিতীয় স্ত্রী।বিগত আট বছর পূর্বে নুপুর আক্তারের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীতে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়।পাঁচ বছর পূর্বে সে সংসারে বিচ্ছেদ হয়।সে সংসারে এখলাছ নামের ৭ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।বিচ্ছেদের পর নুপুর আক্তার তার ছেলেকে গ্রামের বাড়িতে বাদীর নিকট রেখে ফতুল্লায় এসে বিসিকে একটি গার্মেন্টসে চাকরি নেয়।চার বছর পূর্বে পরিচয় হয় ভোলাইলস্থ সেলুনে কাজ করা যুবক মো. কাদেরের সাথে। সেই সুবাদে সম্পর্ক গড়ে উঠে এক পর্যায়ে তারা বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে সেলুন ব্যবসা করার জন্য পাঁচ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করে আসছিল। নুপুর আক্তার তার উপার্জন থেকে কাদেরকে দুই লাখ টাকাও প্রদান করে।পরবর্তীতে আরো তিন লাখ টাকা দাবি করে প্রায় সময় মারধর করতো।এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার দিবগাত রাত তিনটার দিকে গ্রেফতারকৃত কাদের সাথে থাকা ক্ষুর দিয়ে বাদীর মেয়েকে গলায় ও বুকে আঘাত করে হত্যা করার চেষ্টা করে। বিষয়টি আশেপাশের লোকজন টের পেয়ে এগিয়ে এসে রক্তাক্তবস্থায় নুপুরকে উদ্ধার কর প্রথমে নারায়ণগঞ্জ পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক কামাল হোসেন জানায়,মামলা হয়েছে।অভিযুক্ত আসামী কাদেরকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।