নারায়ণগঞ্জে চার্জার ফ্যান বিস্ফোরণে মা-বাবা দগ্ধ ও মেয়ের মৃত্যু

দৈনিক তালাশ.কমঃ বুধবার, ১৪ জুন,২০২৩ নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লায় কাশিপুরে শর্ট সার্কিট থেকে আগুনে একই পরিবারের শিশু সহ পাঁচজন দগ্ধের মধ্যে বাবা-মায়ের পর মেয়ে সোনিয়া আক্তারও (২৫) চলে গেলেন,না ফেরার দেশে। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাড়িয়েছে তিনজনে।সোনিয়া স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। তার স্বামীর নাম মো:সেলিম মিয়া।

গতকাল মঙ্গলবার (১৩ জুন) রাত পোনে দশ টায় বার্ণ ইনিস্টিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। বার্ণ ইনিস্টিউটের আবাসিক সার্জন মো: তরিকুল ইসলাম বলেন মৃতার শরীরের ৪২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।এর আগে গত সোমবার সন্ধ্যায় সোনিয়ার বাবা সালাম মন্ডল (৫৫) ও গতকাল মঙ্গলবার সকালে মা বুলবুলি বেগম (৪৫) মারা যান।

গত ৯ জুন সকালে ঘটনাটি ঘটে, পরে তাদের কে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটে ভর্তি করা হয়।তাদের গ্রামের বাড়ি নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার দিয়াঘাট গ্রামে।

বর্তমানে হাসপাতালে দগ্ধ বাকি দু’জন আশংকাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা হলেন- সালামের ছেলে গার্মেন্টস কর্মী টুটুল (২২) তার শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। ও স্কুল পড়ুয়া নাতনি মেহেজাবিন (৭) তার শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

মৃত সালামের ফুপাতো ভাই মো: আবিদ বিশ্বাস বিকালে ঢামেকের মর্গে বলেন, সোমবার ভাই সালামকে দাফন দিয়ে এসে পাই ভাবীর মরদেহ। বিনা ময়নাতদন্তে ভাবির মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি। গ্রামের বাড়িতে স্বামীর কবরের পাশে দাফন দেওয়া হবে তার স্ত্রী’র।

তিনি আরো বলেন,তাদের আর্থিক অবস্থা খুবই নাজুক। কোন রকমে তাদের জীবন যাবন করতো।

গত ১৫ বছর আগে তারা নারায়ণগঞ্জে আসেন।চালাতেন রিকশা,স্ত্রী ছেলে গার্মেন্টসে কাজ করতো।সালাম মন্ডলরা দুই ভাই,বাবা মা অনেক আগেই মারা গেছেন। তাদের আগুনে দগ্ধের ঘটনা শুনে তার বড় ভাই আলম মন্ডল স্টোক করে স্থানীয় হাসপাতাল চিকিৎসাধীন,তাদের আপন বলতে আমরা ছাড়া আর কেউ নেই।

তিনি বলেন,তাদের চিকিৎসা খরচ মেটাতে হচ্ছে আত্মীয় স্বজনদের সাহায্যে। বর্তমানে তাদের সাহায্য করার মতো অবস্থা নেই। ফলে তাদের সহকর্মী গার্মেন্টস কর্মীদের ও তার সহকর্মী রিকশা চালকদের থেকে টাকা পয়সা তুলে চিকিৎসা করাতে হচ্ছে সামনে কিভাবে তাদের খরচ চালাব বলতে পারছিনা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হাসপাতাল থেকে কিছু ঔষধ দেয়, বেশির ভাগ ওষুধই আমাদের বাহির থেকে আনতে হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *