দৈনিক তালাশ.কমঃ সোমবার (১২ জুন) দুপুরে চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জান্নাতুল ফেরদাউস চৌধুরী এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুস ছালাম উপজেলার ৬ নম্বর কচুয়া উত্তর ইউনিয়নের তেতৈয়া গ্রামের মৃত আয়েত আলীর ছেলে। হত্যার শিকার নাজমা একই ইউনিয়নের নাহারা গ্রামের মো. আবু তাহেরের মেয়ে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ১০ এপ্রিল পারিবারিকভাবে অটোরিকশাচালক আব্দুস ছালামের সঙ্গে নাজমার বিয়ে হয়।
বিয়ের সময় কনেপক্ষ আব্দুস ছালামকে এক লাখ টাকার জিনিসপত্র দেয়।
প্রায় এক বছর তাদের দাম্পত্য জীবন ভাল চলে। এরপর তাদের একটি মেয়ে হয়। পরে অটোরিকশা কেনার জন্য নাজমার কাছে টাকা দাবি করতে থাকেন আব্দুস ছালাম।
কিন্তু টাকা দিতে না পারায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালের ১০ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টার দিকে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে আব্দুস ছালাম নাজমার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন।
এতে তিনি গুরুতর আহত হলে তাকে প্রথমে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চারদিন পর ১৪ অক্টোবর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাজমার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ১২ অক্টোবর নাজমার বড় ভাই মো. সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে নাজমার স্বামী আব্দুস ছালামকে আসামি করে নারী
ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কচুয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। ও মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলাটির তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয় কচুয়া থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরল ইসলাম খানকে।
তিনি তদন্ত শেষে ১০১২ সালের ১৭ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
সরকার পক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) খোরশেদ আলম শাওন জানান, দীর্ঘ ১৩ বছর মামলা চলাকালে আদালত সাতজনের সাক্ষ্য নেন।
সাক্ষ্য ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় সোমবার আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন আদালত। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. শাহজাহান মিয়া।