বন্দর থানা বিএনপি দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন স্বচ্ছ না হওয়ায় তৃনমূল্য নেতাকর্মী ক্ষোভ প্রকাশসহ নানা ভাবে দ্বিধাদ্বন্দ্বে জড়িয়ে পরার অভিযোগ

দৈনিক তালাশ.কমঃ বন্দর থানা বিএনপি দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন স্বচ্ছ না হওয়ায় তৃনমূল্য নেতাকর্মী ক্ষোভ প্রকাশসহ নানা ভাবে দ্বিধাদ্বন্দ্বে জড়িয়ে পরার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গনমাধ্যমের কাছে এমন কথা জানিয়েছে বন্দর থানা বিএনপি কয়েকজন শীর্ষ নেতা। এদিকে সদ্য অনুষ্ঠিত দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন কারচুপি অভিযোগ এনে সদ্য অনুষ্ঠিত সম্মেলনের পরাজিত সভাপতি প্রার্থী নূর মোহাম্মদ পনেছ গন মাধ্যমের কাছে বিবৃত্তি প্রদান করেছে। গত শুক্রবার (৯ জুন) বন্দর থানার ২৭নং ওয়ার্ডের কুড়িপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সভাপতি প্রার্থী নূর মোহাম্মদ পনেছ তার লিখিত বার্তার মাধ্যমে গনমাধ্যমকে জানান, এই সম্মেলনের ভোট গ্রহন সঠিক ভাবে হয়নি। কারন বিএনপি গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আহবায়ক কমিটির ৪১ জন সদস্য ভোটার হবে। তার পর প্রতিটি ওয়ার্ড কমিটির সুপার ফাইভ সদস্য ভোটার হবে মোট ৪৫+ ৪১= ৮৬ জন ভোটার ভোট প্রদান করবে। একজন বিতর্কিত আহবায়ক কমিটির সদস্য যদি সভাপতি প্রার্থী হতে পারে তাহলে আহবায়ক কমিটি প্রতিটি সদস্য ভোটার হবে এবং ভোট প্রয়োগ করবে। গত শুক্রবার (৯ জুন) তারাহুরা করে কারচুপি মাধ্যমে ভোট গ্রহন করা হয়। ৮৬ জন ভোটারের মধ্যে ৪৫ জন ভোটারের মধ্যে যে নির্বাচন হয়েছে তার মধ্যেও কারচুপি আলামত পাওয়া গেছে। যেমন ভোটার যারা ভোট দিতে প্রবেশ করেছেন এর পূর্বেই বিতর্কিত সভাপতি প্রার্থী ভোটারদের প্রভাবিত করে প্রার্থীর নাম ও টাকা ভোটারের হাতে ধরিয়ে দিয়ে জোর পূর্বক ভাবে ভোট গ্রহন করা হয়েছে। তারপরও জয় পরাজয়ের ভোটের ব্যবধান ছিল মাত্র তিন ভোট। এ তিন ভোটের ব্যবধানে ৮৬ জন ভোটারদের মধ্যে পূনাঙ্গ ভোট না করে কাউকে পরাজিত বলা যায় না। এ কারনে এ বিতর্কিত সম্মেলন ও ভোট গ্রহনের র্তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে পুনরায় ৮৬ জন সদস্যদের নিয়ে ভোটের মাধ্যমে সুষ্ঠ সম্মেলন করে জয় পরাজয় নিশ্চিত করার জন্য মহানগর বিএনপি র্শীষ নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। বর্তমান নির্বাচনের এই ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনরায় সম্মেলন দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। আমি যদি জানতাম আওয়ামীলীগ ঘেষা বিতর্কিত শাহেন শাহ আহাম্মেদের সাথে আমাকে নির্বাচনে যেতে হবে তাহলে কোনদিনও আমি সম্মেলন হতে দিতাম না। বিতর্কিত আওয়ামীলীগ ঘেষা নেতা শাহেন শাহ আহাম্মেদ কিছু সংখ্যাক লাঙ্গল পন্থি বিএনপি নেতাদের ম্যানেজ করে কারচুপি মাধ্যমে কোন মতে আহবায়ক কমিটি সদস্য হয়েছে। বর্তমানে শাহেন শাহ আহাম্মেদ আওয়ামীলীগে যোগদান করে আওয়ামীলীগের রাজনিতী নিয়ে মাঠে আছেন। বিগত সময়ে দেখা গেছে শেখ হাসিনার ৭৫ তম জন্মদিনের একটি অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের এমপি সেলিম ওসমানের উপস্থিতিতে বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম.এ রশীদ ও সাধারন সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধানের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে আওয়ামীলীগে যোগদান করেছে শাহেন শাহ। এই পল্টিবাজ নেতা হাজারও অপকর্ম ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সরকারি দল আওয়ামীলীগ থেকে সুবিধা আদায় করার জন্য দলবল নিয়ে সে সময় আওয়ামীলীগের সাথে যোগ দিয়েছে মামলা থেকে বাঁচার জন্য। আওয়ামীলীগে যোগদানকারী শাহেনশাহ বিএনপির সভাপতি হয় কি ভাবে। উনি কবে আওয়ামীলীগ থেকে বিএনপিতে যোগ দিয়েছে তাও আমাদের কারও জানা নেই। তাই এই পল্টিবাজ নেতা কখনো আওয়ামীলীগ বা কখনো জাতীয় পার্টি কখন সুবিধাবাদী পার্টি নেতা বনে যাচ্ছে। অনতি বিলম্বে এই পল্টিবাজ নেতাকে বহিস্কারসহ গঠনতন্ত্র মোতাবেক সচ্ছ সম্মেলন উপহার দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় বিএনপি ও মহানগর বিএনপি শীর্ষ নেতাদের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে বন্দর থানা বিএনপি নেতা নূর মোহাম্মদ পনেছসহ বন্দর থানা বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *