দৈনিক তালাশ ডটকম : অবশেষে পরপারে চলে গেল রুবেল খুবই দুঃখজনক।ওকে অনেক সময় আমরা মজা করে টি সম্পাদকও বলতাম ও অনেক খুশি হতো।সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে রুবেল আসলেই ও একজন প্রকৃত সংবাদসেবী।ওর ঋন অনেকেই গায়ের চামড়া দিয়ে জুতা বানিয়ে দিয়েও শোধ করতে পারবেনা।কেউ কেউ ওকে চাকর-বাকরের মতো ব্যবহার করেছে কিন্তু স্বার্থ ফুরানোর পর ছিঁটকে ফেলে দিয়েছে।আমাদের সমাজের রুবেলদের মতো সংবাদসেবীরা এভাবেই নিরবে-নিস্তবে চলে যাবে কেউ সমবেদনাও জানাবেনা।এটাই জগতের নিয়ম।তোর জন্য অনেক অনেক দোয়া রইলরে ভাই নিঃসন্দেহে তুই ছিলি সহজ-সরল নিশ্পাপ।মহান রাব্বুল আল আমিন যেন তোকে বেহেস্ত নসীব করেন।
পত্রিকা বিলি করা সেই রুবেল আর নেই, ইন্না লিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাইহী রজিউন।জানাযার নামাজ বাদ যোহর কাশিপুর শান্তিনগর এলাকায় হবে। সকলে তাকে ক্ষমা করে দিবেন। আপন বলতে তার কেউ নেই বললেই চলে। আল্লাহ তাকে যেন মাফ করে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন, আর আল্লাহ যেন আমাকেও মাফ করেন, আমিন। কারণ ছেলেটার জন্য আরো অনেক কিছু করার ছিল কিন্তু পারলাম না। জীবনে অর্থ কতটা মূল্যবান রুবেলকে দেখে আর আমার সমসাময়ীক অবস্থায়, অনেক ভালোভাবে অনুভব করেছি। যতদিন এ সমাজে দেয়ার মত দেহে শক্তি থাকে ততদিন কেউ না কেউ পাশে দাঁড়ায়। সে শক্তি হারিয়ে ফেললেই একাকী জীবন। সে যে পত্রিকা অফিসে পিয়নের কাজ করতো, সেখানে বার বার মারধরের শিকার হতো। সে লোকটিও একবার তার খোঁজ খবরও নেয়নি, এর মধ্যে তারই এক আত্মীয়, অবাক লাগে মাত্র দু হাজার টাকা দিয়েছিলাম, চাল, ডাল, আটা দিতে সেটা আর ছেলেটা পেলনা! আর এসব বলায় তাদের শত্রু হতে হয়। তীলে তীলে ছেলেটা মৃত্যুবরণ করলো। তার খুব সল্প চাহিদা ছিল, অল্পতেই খুশি করা যেত, হাসি-ঠাট্টায় অনেক বিনোদন দিতো এই রুবেল, এখন স্মৃতি।