দৈনিক তালাশ ডটকম : বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে যে সেক্টরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্নভাবে ভূমিকা রাখছে তা হলো ইন্টারনেট। এখন ইন্টারনেট ছাড়া দৈনন্দিন অফিশিয়াল কোনো কাজ সুষ্ঠুভাবে কল্পনা প্রায়ই অসম্ভব। ইন্টারনেট যেমন মানুষের চলার গতি সহজ করে দিয়েছে, তেমনি এর ব্যবহারে সৃষ্টি হয়েছে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের কর্মসংস্থান। এই ইন্টারনেট মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে এনিয়ে প্রতিযোগীতা মূলক কাজ করে যাচ্ছে এদেশের তরুন উদ্যোক্তারা। যেখানে প্রতিযোগীতামূলক কিছু হবে সেখানে দু’ একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটবে এটাই স্বাভাবিক বলে মনে করেন বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞগণ। যাইহোক, অতিতেও যেমন ইন্টারনেট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এদেশে বহু ঘটনা ঘটেছে আবার এখনও যে হচ্ছে না তা নয়। গতকাল নারায়ণগঞ্জে বৃহত্তর মাসদাইর এলাকায় ইন্টারনেট ব্যবসা দখলে নিতে দুই ব্যবসায়ীর মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানা যায়। এরপর বিষয়টি নিয়ে বিশদ জানতে সরেজমিনে গেলে ইন্টারনেট ব্যবসায়ী রাসেল নারায়নগঞ্জ-৪ এর সাংসদ শামীম ওসমানের পুত্র অয়ন ওসমানের নাম ভাঙ্গিয়ে স্থানীয় নেট ব্যবসায়ী ও তার পরিবারের উপর হামলা চালিয়ে নেট ব্যবসার আধিপত্য নিজেদের দখলে নেয়ার চেষ্টা চালায়। বিষয়টি অয়ন ওসমান জানতে পেয়ে সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে হামলাকারী ও তার বাহিনীকে কঠোর হুশিয়ারী প্রদান করে বলেন- আমি ও আমার পরিবার স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক দর্শনে উজ্জীবিত হয়ে তার আদর্শে রাজনীতি করে। সুতরাং কারো উপর জুলম করার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয় আমার পরিবার। আমি অতীতেও বলেছি আজও বলছি, যারা আমার ও আমার পরিবারের নাম ভাঙ্গিয়ে অন্যের উপর জুলূম করে, অবিচার করে, অন্যের ব্যবসা ও অন্যের জায়গা দখলে নেয়ার চেষ্টা চালায় তারা কখনো আমার বন্ধু বা আমার কর্মী হতে পারে না। আমি কোনো সন্ত্রাসীকে প্রশ্রয় দেইনি আর কখনো দেবো না। তাই আমি এলাকার মুরব্বিদের আহ্বান জানাই তারা যেন বিষয়টি নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করেন। সেই সাথে যারা এই অনাকাংখিত হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে তারা যেন অতি সত্ত্বর ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ পুষিয়ে দেয়। সেই সাথে ফের এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে সে ব্যাপারে হামলাকারী সহ এলাকার সবাইকে কঠোর হুশিয়ারি আরোপ করেন। এ সময় তিনি আরো বলেন, কারো কোন ব্যবসা দখলে নেয়া চলবে না, যার যার ব্যবসা সে সে স্বাধীনভাবে পরিচালনা করবে। ব্যবসায়ীরা যেন নির্ভয়ে ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারে সে ব্যাপারে আমার সব রকম সহযোগীতা অব্যাহত থাকবে। তার এমন বার্তায় ইতিমধ্যে এলাকাবাসী মাঝে ফিরে এসেছে স্বস্তি । এ ঘটনা নিয়ে একটি সালিশও অনুষ্ঠিত হয়। বিচার সালিশের মাধ্যমে এলাকার সকল ব্যবসায়ীদের পাশে থাকায় আশ্বাস দেয়া হয়। সেইসাথে বলা হয় যে,যদি কেউ কোন রাজনৈতিক দলের পরিচয় দিয়ে বা বিশেষ কারো নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় কেউ ত্রাস সৃষ্টির পায়তারা করে তার বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনানুগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সালিশে উপস্থিত ছিলেন- ইব্রাহীম চেঙ্গিস, আলহাজ্ব ফয়েজউদ্দিন আহমেদ লাভলু, এহসানুল হক নিপু সহ আরো অনেকে।