দৈনিক তালাশ ডটকম : (বন্দর সংবাদদাতা) : বন্দরে এক সাংবাদিকের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ব্যবসায়ী কাজের দুই লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে বন্দরে আলোচিত ও সমলোচিত রাজাকারের নাতি ও স্থানীয় চেয়ারম্যান পুত্র শুভ বাহিনীর বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যায় বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দ বাস¯ট্যান্ডে মোজ্জাম্মল মিয়ার চায়ের দোকানে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী নূরুজ্জামান মোল্লা (৪৭) কামতাল এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার বন্দর উপজেলা প্রতিনিধি। সন্ত্রাসী মাহমুদুর হাসান শুভ মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে পুলিশের উপর হামলা ও জনপ্রতিনিধিকে অপহরনের পর চাঁদা আদায়সহ কমপক্ষে অর্ধ ডজন মামলার আসামি। এ ঘটনায় আহত নূরুজ্জামান মোল্লার স্ত্রী বাদী হয়ে শনিবার (৩ জুন) দুপুরে সন্ত্রাসী শুভসহ ৬/৭ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের তথ্য সূত্রে জানাগেছে, সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী নূরুজ্জামান মোল্লা অপর এক প্লাস্টিকের দানা ব্যবসায়ী রাজু আহম্মেদকে পাওনা দুই লাখ টাকা দেওয়ার জন্য গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দ বাস¯ট্যান্ড বাহাউদ্দিনের মাঠে মোজ্জাম্মেল মিয়া চায়ের দোকানে আসে। পরে নূরজ্জামান মোল্লা দোকানে বসে টাকা গননার সময় ওই মুহুর্তে সন্ত্রাসী শুভ ও তার সাথে থাকা ৬/৭ জন সন্ত্রাসী সাদা মাইক্রোবাস হাইস নিয়ে উল্লেখিত চায়ের দোকানে সামনে থামায়। পরে উল্লেখিত সন্ত্রাসী ও রাজাকারের নাতি শুভসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা দোকানে ঢুকে নূরুজ্জামানকে লাথি দিয়ে ফেলে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে দুই লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা হাইস নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় নূরুজ্জামানকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে প্রেরণ করে।
বন্দর থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত আবু বকর ছিদ্দিক জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, এ ছাড়াও সম্প্রতি বন্দরে মোটর সাইকেলের কাগজপত্র চাওয়ায় কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই শফিউল্লাহ সহ ৪ সদস্যের ওপর হামলা চালিয়েছে শুভ ও তার বাহিনী। ৩০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদ ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য হাজী সফুরউদ্দিনকে তুলে নিয়ে নির্যাতন চালায় শুভ বাহিনী। গত মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদার দাবিতে কামতাল গ্রামের অবস্থিত টোটাল ফ্যাশন গার্মেন্টে গেইটে হামলা চালায়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। সন্ত্রাসী শুভ বাহিনী তান্ডব নিলা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য স্থানীয় এমপি বীরমুক্তিযোদ্ধা এ.কে.এম সেলিম ওসমান ও জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপারের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।