দৈনিক তালাশ ডটকম : রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান(বীর উত্তম) এর ৪২ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী অনুষ্ঠানে অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন,বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার যা করছে তারা তো আমাদের ভোটাধিকার হরণ করেছেন, কথা বলার স্বাধীনতা হরণ করেছে। দেশের উন্নয়নের নাম করে তারা বাংলাদেশের টাকা বিদেশে পাচার করে অট্টালিকা গড়ে তুলছে।বিদেশীর মানুষরা বুঝে না এই টাকা কিসের টাকা। আপনেরা দেশের টাকা পাচার করে বিদেশে নিজেদের ছেলে মেয়েদের পড়াচ্ছেন।আমেরিকার সরকার এখন বাংলাদেশের সেই সকল এমপি, মন্ত্রী ও নেতাকর্মীদের ভিসা বাতিল করেছে। এখনো সময় আছে আপনেরা জনগনের কাছে মাফ চান, ১৮ কোটি মানুষের অধিকার হরণ করে যে ছিনিমিনি খেলা করছেন তার জন্য ।বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি করে তার কাছে ক্ষমা চান।
শুক্রবার(২ জুন)বিকেল ৬টায় সিদ্বিরগঞ্জের আরামবাগে নাসিক নাসিক ১০ নং ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
নাসিক ১০ নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোঃআইনুল হকের সভাপতিত্বে ও
সাধারণ সম্পাদক মোঃলিয়াকত আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ।অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি অকিল উদ্দিন ভূঁইয়া এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সিদ্বিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃশাহা আলম হীরা,সিদ্বিরগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন খোকন,১০ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলী আহাম্মদ লালা।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন,মাত্র ৩ বছরের রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকেছেন জিয়াউর রহমান। তবুও আজও মানুষ তাকে ভুলে নাই। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমান ৩ বছরের ক্ষমতায় থাকার ২১ বছর পর তার মেয়ে ক্ষমতা আসছে। শেখ হাসিনা ১৫ বছর যাবৎ রাষ্ট্র ক্ষমতায় আছে, আজ যদি বিদায় নেয় তাহলে কালকে এই দেশের মানুষ তার কথা ভুলে যাবে। কেউ তাকে স্বরণ করবে না। তাকে শুধু ঘৃণায় স্বরণ করবে, তার নাম শুনলে মানুষ ঘৃণায় থুথু দিবে। বাপ ৩ বছর ক্ষমতা থাকার পর তার মেয়ে যদি ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসে তাহলে এখন ক্ষমতা হারালে সেই হিসেব করলে ১০০ এর উপরে ক্ষমতায় আসবে । এই ১৫ বছরে আমাদের বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে ৩৫ লক্ষ মামলা দিয়েছেন।বাসার নারীদেরও ঘরছাড়া করেছেন। স্ত্রী সন্তানের সাথে শান্তিতে বসবাস করবো সেটাও তিনি হরণ করেছে।
মামুন মাহমুদ আরো বলেন,এই হাসিনা বলেছিলো ১০টাকা কেজি চাল খাওয়াবে, ফ্রি সার দিবে, ঘরে ঘরে চাকরি দেবে। তার মানে হাসিনা মিথ্যুক, হাসিনা প্রতারক। তিনি বলেও প্রতারণা করেছে, তিনি একটা ঠকবাজ। আমরা বলেছি আপনি ভালোয় ভালো বিদায় নেন। আপনার আর বেশী দিন নাই। আপনাকে যেতেই হবে। আমাদের নেতা ঘোষণা দিয়েছে এই সরকারের অধীনে বিএনপি কোন নির্বাচনে যাবে না। অতএব সামনের নির্বাচন আপনার অধীনে হবে না। যদি সামনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নির্বাচন করতে চান তাহলে ভালোয় ভালো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। তারপর আপনারা নির্বচনে অংশ গ্রহন করেন। আপনি তো বলেন অনেক উন্নয়ন করেছেন। আপনি যদি মানুষের উন্নয়ন করে থাকনে তাহলে এতো ভয় কিসের, আপনি তাহলে আগামী নির্বাচনে আবার জনগণের ভোট পাবেন। অন্তত সেই পরীক্ষায় আপনি অবতীর্ণ হন। আপনি আর নকল পরীক্ষা দিয়েন না।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন , ১০ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন বাদল, ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোশারফ হোসেন, ৪নং ওয়ার্ডের সভাপতি টিএইচ তোফা,৯নং ওয়ার্ডের সভাপতি বাবুল প্রধান,১নং ওয়ার্ডের সভাপতি গাজী মনির হোসেন,৮নং ওয়ার্ডের সভাপতি শামসুদ্দিন শেখ, ২নং ওয়ার্ডের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, ৫নং ওয়ার্ডের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নূর হোসেন নূরু, ৩নং ওয়ার্ডের সভাপতি আবজাল হোসেন,৭ং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম,সিদ্বিরগঞ্জ থানা তাতী দলের আহবায়ম তাইজুল ইসলাম, ৮ং সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম সহ ১০ নং ওয়ার্ডে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।