খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে সাংবাদিকের উপর হামলা

দৈনিক তালাশ.কমঃ নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এলএসডি) হুমায়ন কবিরের নির্দেশে লাতিফুল আজম নামে এক সাংবাদিককে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার(৩ অক্টোবর)বিকালে উপজেলার খাদ্য গুদামে এ ঘটনা ঘটে।এঘটনায় ওই সাংবাদিক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

জানা যায়, আজ বিকেল ৪টার দিকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় অক্টোবর মাসের চাল নিতে আসে অনুমোদিত ডিলাররা। ডিলারের উপস্থিতে চাল দেয়ার নিয়ম থাকলেও তাঁদের অনুপস্থিতে ঘোষ নিয়ে চাল দেন খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ন কবির। এমন তথ্য পেয়ে সেখানে যান দ্যা মনিং গ্লোরী পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি লাতিফুল আজম, দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিন পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি সামসুজ্জামান সুমন ও দৈনিক দেশ চিত্রের উপজেলা প্রতিনিধি আদর আলী।সেখানে গিয়ে ঘুম নিয়ে চাল দেওয়ার বিষয়ে এলএসডি হুমায়ুন কবিরের কাছে ডিলারের অনুপস্থিতে চাল দেয়ার ব্যাপারে সংবাদকর্মীরা জানতে চাইলে এলএসডি হুমায়ন কবির জানায় ডিলার এসে স্বাক্ষর দিয়ে গেছে তাই আমরা চাল পাঠিয়ে দিচ্ছি।পরে সেই কর্মকর্তার শ্রমিকের সর্দার পালানু রহমান তিন সংবাদকর্মীদের উপর চড়াও হয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। সাংবাদিক লাতিফুল আজম গালিগালাজ করার নিষেধ করলে শ্রমিকের সর্দার পালানু রহমান তেড়ে এসে তাঁকে এলোপাথারি মারধর করেন। পরে তার অপর দুই সহকর্মী আহত সাংবাদিক লাতিফুল আজমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসেন।

এবিষয়ে সাংবাদিক লাতিফুল আজম বলেন, আমি আজ বিকালে জানতে পারি খাদ্য গুদামে ঘুস নিয়ে ডিলারের উপস্থিতি ছাড়াই চাল দেওয়া হচ্ছে। পরে আমার আরও দুই সহকর্মীকে সাথে নিয়ে সেখানে গিয়ে ডিলারের উপস্থিতি দেখতে না পেরে কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরের কাছে ঘোষ নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাই। তার কাছে কারন জানতে চাওয়া মাত্রই তার নির্দেশে তার কর্মচারির সর্দার পালানুসহ আরও কয়েকজন আমাদের দিকে মারমুখী হয়ে এগিয়ে এসে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। এসময়ে আমি তাদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে তারা আমাকে মারধর শুরু করেন সেসময়ে আমি মাটিতে পড়ে যাই।পরে আমার সহকর্মীরা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।এঘটনার খাদ্য গুদামের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখলে সবকিছু দেখা যাবে।

খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এলএসডি হুমায়ুন কবির বলেন, সেখানে একটু ঘটনা ঘটেছিলো সেটা সমাধান হয়েছে। আমি আপনার সাথে সরাসরি কথা বলব মোবাইলে এসব বলতে চাচ্ছি না।

এবিষয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) আশরাফুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিকদের মারধরের ঘটনা নিন্দনীয়।থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *