দৈনিক তালাশ ডটকম : নারায়ণগঞ্জের বন্দরে পোড়া মবিল তেলের ব্যবসার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অনিক গ্রপের হামলায় ক্যাপ রোমান (৩৬) নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার দিন রাতেই ঘারমোড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘাতক অনিক সরদারসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে নিহত ক্যাপ রোমানের পিতা আব্দুর রহিম ওরফে আদু মিয়া বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত ৪ আসামীসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ্য করে ও আরো ৬/৭ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করে বন্দর থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং- ৪৮(৫)২৩।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ঘারমোড়া সরদার বাড়ি এলাকার মহিদ সরদারের ছেলে ও একাধিক মামলার আসামী অনিক সরদার (২৭), একই এলাকার আকবর হোসেন মিয়ার ছেলে অন্তর হোসেন (২৫), বুরুন্দী এলাকার শাহাবুল্লাহ বেপারীর ছেলে সবুজ (৩৮) ও একই এলাকার মিজানুর মিয়ার ছেলে দিদার (৩৮)।
এর আগে শুক্রবার (২৬ মে) রাতে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ঘারমোড়া বাজারস্থ মরহুম রশীদ সরদার মার্কেটের সামনে ওই হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ গ্রেপ্তারকৃতদের শনিবার (২৭ মে) দুপুরে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছে। এদিকে নিহত ক্যাপ রোমানের মৃতদেহ শনিবার দুপুরে তার নিজ বাড়ি মদনগঞ্জ ছৈয়ালবাড়ী ঘাটে আনা হলে ক্যাপ রোমানকে এক নজর দেখার জন্য এলাকাবাসী ভীড় জমায়।
বাদ আছর ক্যাপ রোমানের নামাজের জানাযা মদনগঞ্জ ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশন মাঠ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়। পরে মদনগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন কবরস্থানে দাফন সম্পর্ন করা হয়। সন্ত্রাসী অনিক গ্রুপ ও ক্যাপ রোমান গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ঘারমোড়া, আলীনগর ও ছৈয়াল বাড়ি ঘাটসহ এর আশেপাশের এলাকা গুলোতে থমথমে ভাব বিরাজ করছে।
বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, পোড়া তেলের ব্যবসার নিয়ন্ত্রন নিয়ে বন্দর উপজেলার ঘারমোড়ার সরদার বাড়ি এলাকার অনিক গ্রুপের সাথে মদনগঞ্জ ছৈয়ালবাড়ী ঘাট এলাকার ক্যাপ রোমান গ্রুপের দীর্ঘ দিন ধরে শত্রুতা চলছিল। পোড়া তেলের ব্যবসা নিয়ে ইতিপূর্বে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ আবু বকর সিদ্দিক জানান, ক্যাপ রোমান নিহতের ঘটনায় তার পিতা বাদী হয়ে অনিক সরদারসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে। ঘটনার ওই রাতে ঘারমোড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মামলার প্রধান আসামী অনিক সরদারসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ঘারমোড়া ও আলীনগর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।