বন্দরের ভয়ঙ্কর ডাকাত সর্দার মামুন গ্রেফতার

দৈনিক তালাশ.কমঃনারায়ণগঞ্জের বন্দরে ডাকাত সর্দার মামুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৭ নং ওয়ার্ডের সোনাচড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে বন্দর থানার এসআই মামুন সহ সঙ্গীয় ফোর্স তাকে গ্রেফতার করা হয়।

জানা গেছে, সোনাচড়া এলাকা মৃত আসলাম ডাকাতের ছেলে মামুন সহ ১৫/ ২০ জনের একটি দল দীর্ঘ দিন ধরে বন্দর থানাধীন সোনাচড়া, তালতলা, মনার বাড়ি সহ বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও খুন সহ নানা অপকর্ম করে আসছিলো। এসকল অপরাধ করার কারণে বিভিন্ন সময়ে সে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হাতে গ্রেফতার হয় একাধিকবার। তবে জামিনে বেরিয়ে আবারো অপরাধ করে ভয়ংকর ডাকাত সর্দার মামুন বাহিনীর সদস্যরা। ঈদুল ফিতরের আগে অর্থাৎ রমজান মাসে বন্দর থানার ওসি গোলাম মোস্তফার নির্দেশে সেকেন্ড অফিসার এসআই সাইফুল ইসলাম এর নেতৃত্বে এস আই শওকত, এস আই ইকবাল, এস আই সামাদ, এস আই ফয়েজ, এএসআই দ্বীন ইসলাম সহ আরও বেশ কয়েকটি টিম ধৃত ডাকাত সর্দার মামুনের বাসায়। এসময় তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার দ্বিতীয় স্ত্রী চম্পাকে বাসায় পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ডাকাত সর্দার মামুন একই এলাকার সুমি আক্তার কে সন্দেহ করে তার বাসা বাড়িতে ব্যাপক হামলা চালায়। এসময় ডাকাত সর্দার মামুন ও তার ভাই মনির গংদের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী সুমি আক্তার ‌। মামলা দায়ের করার পরের দিন বিকালে আবারো ৭/৮ জন ডাকাত সঙ্গে নিয়ে ডাকাত সর্দার মামুন সুমি ও তার স্বামী আলামিনকে উদ্দেশ্য করে গুলিবর্ষণ করে এবং তার মেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে কয়েকজনকে আহত করে। এসময় ডাকাত সর্দার মামুনের মা এগিয়ে আসলে তাকেও হত্যা চেষ্টা চালায়। পরবর্তীতে থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর থেকে সে পলাতক ছিলো। কিন্তু পুলিশের নজরদারি ছিলো তার উপর। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোনাচড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে বন্দর থানার ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, ধৃত মামুন একজন চিহ্নিত অপরাধী। সে বেশ কয়েকটি মামলার আসামি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে স্থানীয় এক নারী কিছুদিন আগে একটি হত্যা চেষ্টা ও লুটপাটের মামলা দায়ের করেন। এঘটনার পর থেকে সে পলাতক ছিলো। তবে তার উপর নজরদারি রাখে। বুধবার সকালে তাকে সোনাচড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। তার আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ‌।
এস মামুন জানান, ডাকাত সর্দার মামুন সে আমার তদন্তাধীন একটি মামলার আসামি ছিলো। এছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও মামলা রয়েছে। তাকে আমরা নজরদারিতে রেখেছি। আজ বুধবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোনাচড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তার বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সুমি আক্তার জানান, ডাকাত সর্দার মামুন ও তার ভাই মনির গংরা বেশ কয়েকবার আমি ও আমার স্বামী আল-আমিন কে হত্যার চেষ্টা করেছিলো। পরবর্তীতে আমি নিজে ও পরিবারের সদস্যদের বাঁচাতে থানায় মামলা দায়ের করি। ডাকাত সর্দার মামুনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি। তাকে গ্রেফতার করার পর এখনো ডাকাত সর্দার মামুনের লোকজন বলে বেড়াচ্ছে যে, ডাকাত মামুন জামিনে মুক্তি পেলে আমাকে ও আমার স্বামী আল-আমিন কে হত্যার হুমকি দিচ্ছে।
ডাকাত সর্দার মামুনকে গ্রেফতার করাতে স্থানীয়দের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে জানিয়েছে অনেকেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *