অবৈধভাবে চাল মজুত করলে কাওকে ছাড়‌‌ দেওয়া হবেনা জেলে দেওয়ার নির্দেশ: খাদ্যমন্ত্রীর

দৈনিক তালাশ.কমঃউজ্জ্বল কুমার সরকার: চালের দাম বাড়ানোর কোনো যুক্তিই গ্রহণযোগ্য নয়: খাদ্যমন্ত্রী অবৈধভাবে চাল মজুত করলে মজুতদারদের সমপরিমাণ জরিমানা অথবা মামলা দিয়ে জেলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেছেন, ব্যবসায়ীদের চালের দাম বাড়ানোর কোনো যুক্তিই গ্রহণযোগ্য নয়। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে করণীয়’ শীর্ষক অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ নির্দেশ দেন। সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরাও কঠোর অবস্থানে আছি। অবৈধভাবে যারা মজুত করে, তারা যে দলের-ই হোক, যত শক্তিশালী-ই হোক, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।হঠাৎ দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থির করলে কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী মিলগেটে বিক্রয় করা চালের বস্তায় তারিখ ও দাম উল্লেখ করার নির্দেশ দেন। সারাদেশে মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কৃষককে নায্যমূল্য দিতেই সরকার কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনে থাকে। এখন কৃষকের কাছে ধান নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক হাস্কিং মিলে ঘাস গঁজিয়ে উঠেছে, বিদ্যুতের সংযোগ নেই কিন্তু অবৈধ মজুত পাওয়া যাচ্ছে।খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ধানের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে প্রায়শই মিলাররা অভিযোগ করেন। কিন্তু একটা বিষয় মনে রাখবেন চালের বা ধানের ব্যবসায় সুবিধার সবটুকুই ধরে রাখা যাবেনা। একটা অংশ ক্রাসিং হবে আর একটা অংশ বাজারজাত হবে। সব মিলিয়ে সুবিধা নির্ধারণ করা হয়।তিনি আরো বলেন, অনেক মিলমালিক ঋণ নিয়েওমিল চালাতে পারেনা। দেওলিয়া হওয়ার পর কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান সেই মিল কিনে নেয়। তবে কেউ ফুড গ্রেইন লাইসেন্স ছাড়া ধান-চালের ব্যবসা করতে পারবেনা বলে সতর্ক করে দেন তিনি।সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সরকারের অগ্রাধিকার এখন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করে সাধারণ মানুষকে শান্তিতে রাখা। অনেক রক্ত আর ত্যাগের বিনিময়ে আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করলে খুব শীঘ্রই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান বাদশা, খাদ্যসচিব মো. ইসমাইল হোসেন, খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনিসুর রহমান এবং পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার বক্তৃতা করেন। এ সভায় রাজশাহী বিভাগের সকল জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, মিল মালিক ও প্রতিনিধিরা অংশ নিয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *