দৈনিক তালাশ ডটকম:নারায়নগঞ্জে গত ইং১৯/০৫/২০২৩ সকাল০৮.৩০ ঘটিকায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন জালকুড়ি পশ্চিমপাড়া শিমা ডাইংয়ের পাশে ফাঁকা বালুর মাঠে একজন অজ্ঞাত মহিলার হাত ও পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়।এই সংক্রান্তে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি নিয়মিত হত্যা মামলা রুজু হয়।যাহার মামলা নং-৪৪, তারিখ-১৯/০৫/২০১৩খ্রিঃ ধারা- ৩০২/৩৪৷ পেনাল কোড রুজু করা হয়।মামলাটি জেলা পুলিশ সুপার স্যারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার একটি চৌকস টিম ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকার সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ ও ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তদন্ত করিয়া ফুল মিয়া @কাঙ্গাল হৃদয় (২৫)ও মোঃ ফরহাদ মিয়া’দেরকে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেওয়া তথ্য মতে আসামী ১।মোঃকমল@ কুদ্দুস (৩৩), পিতা-আঃজলিল সাং-পূর্ববজরা(চিলমারীরচর)থানা-উলিপুর,জেলা-কুড়িগ্রাম,এ/পি সাং-মুনলাইট গার্মেন্টস এর পাশে,থানা সিদ্ধিরগঞ্জ,জেলা-নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত আসামী জানায় যে,গত ১৯/০৫/২০১৩ খ্রিঃ তারিখ রাতে সে ও তার সহযোগী অভিরউদ্দিন (৩৫),পিতা-চান্দু আকন্দ@ ফতেহ সাং-হয়ভোদখা,থানা-কাউনিয়া,জেলা- রংপুর,এ/পি সাং মুনলাইট গার্মেন্টস এর পাশে থানা- সিদ্ধিরগঞ্জ জেলা নারায়ণগঞ্জ সহ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পাংখাশা মাজারে সাপ্তাহিক ওরশে গান শুনতে যায়।ওরশের গান শেষে রাত অনুমান ০৩.১৫ ঘটিকায় অত্র মামলার ভিকটিম নাসরিন আক্তার (৪০),স্বামী-নয়ন মিয়া,পিতা-আরিফ দেওয়ান সাং-জালকুড়ি তালতলা দেওয়ান বাড়ী থানা সিদ্ধিরগঞ্জ জেলা-নারায়ণগঞ্জ এর সাথে পরিচয় হয় ও এক সাথে চা পান করে।এর পরে অভির উদ্দিনের সাথে ভিকটিমের সাথে অর্থের বিনিময়ে একান্ত আলাপচারিতা করার জন্য সম্মত হয়।ইহার ধারাবাহিকতায় কমল ও অভির ভিক টিমকে নিয়ে একটি জরাজির্ণ পরিত্যাক্ত ঘরে প্রবেশ করে।ইতি মধ্যে ভিকটিমের মোবাইলে একটি ফোন কল আসে এবং সে মোবাইলে কথা বলতে বলতে বাহিরে বের হয়ে যায় তাৎক্ষনিক ঘরে দুই জন পুরুষ প্রবেশ করে ভয়ভীতি দেখাইয়া কমল ও অভির উদ্দিনের কাছ থেকে নগদ টাকা নিয়ে যায়।ইহাতে কমল ও অভির উদ্দিন সন্দেহ করে ভিকটিমের যোগসাজসে দুই জন পুরুষ তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে।তারপর কমল ও অভির উদ্দিন ভিকটিমকে পুনরায় সময় দেওয়ার কথা বলে উক্ত মামলার ঘটনাস্থল বালুর মাঠে নিয়ে যায়।প্রথমে কমল ভিকটিমের কাছে গিয়ে বলে তাকে আরোও টাকা দেবে এই বলে কমলের গলায় থাকা লালসালু কাপড় দিয়ে হাত বাঁধে এবং ভিক টিমের গায়ের ওড়না দিয়ে দুই পা বেঁধে লালসালু দিয়ে ভিকটিমের গলায় পেঁচাইয়া শ্বাসরোধ করিয়া হত্যা করে।পরে কমল ও অভিরউদ্দিন দ্রুত ঘটনা স্থল ত্যাগ করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন ভাড়া বাসায় আসিয়া উভয়ই গ্রামের বাড়িতে চলিয়া যায়।আসামী কমলকে গ্রেফতারের পরে তাহার দেওয়া স্বীকারোক্তি মতে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ঘটনার সময় আসামীর পরিহিত সাদালুঙ্গি ও গেঞ্জি উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।