দৈনিক তালাশ.কমঃফতুল্লা সংবাদদাতা: ফতুল্লা থানাধীন কাশীপুর উত্তর গোয়ালবন্দ এলাকার শারমিনের স্বামী আয়াতুল্লাহ্ মারা গেছেন গত বছর। ব্রেন স্ট্রোকে তিনি দীর্ঘদিন অসুস্থ্য থেকে মৃত্যু বরণ করেন। স্বামীর মৃত্যুর পর অনেকটাই অস্বচ্ছল হয়ে পড়ে শারমিন। এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান নিয়ে বেশ কয়েকমাস অর্থ অভাবে কাটতে থাকে শারমিনের জীবন। কিন্তু তাদের পরিস্থিতি যখন চরম আকার ধারন করে তখন শারমিন ঠিক করে স্বামীর রেখে যাওয়া ১০.৫০ শতাংশ জমি বেঁচে দিবেন। এ জন্য তিনি এদিক সেদিন দৌড়া দৌড়ি শুরু করেন।
এরই মাঝে সম্পত্তি বিক্রিকে কেন্দ্র করে একই এলাকার মো: সোহেল আহম্মেদ তুহিনের সাথে পরিচয় হয় এবং পরবর্তিতে এ তুহিনের মারফত মো: ইকবালের সাথে পরিচয় হয় শারমিনের। তুহিনের কাছে কাছে সম্পত্তি বিক্রির কথা বললে তিনি বলেন, আগে আমাকে জমির পাওয়ার দেন, তারপর আমি আপনার জমি বিক্রির ব্যবস্থা করছি। নয়তো, বড় ধরনের ঝামেলায় পড়ে যাবেন। তখন স্বামী হারা অসহায় স্ত্রী শারমিন দিশেহারা হয়ে তুহিনকে ওই জমির পাওয়ার দান করে। এজন্য তুহিন শারমিনকে ২০ লাখ টাকাও দিয়ে বলে, আপনার অবস্থাতো বেশি একটা ভালো না, স্বামী মারা গেছে, সন্তানদের নিয়ে অনেক সমস্যায় আছেন। আপাতত এই টাকা দিয়ে আপনার সমস্যার সমাধান করেন, পরে বাকি সব দেখছি। সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে অনেকটা বাধ্য হয়েই টাকাটা নেন শারমিন। কিন্তু তিনি জানতেন না, তার স্বামীর রেখে যাওয়া পুরো সম্পত্তি তুহিন গিলে খেতে চাচ্ছেন। যখন শারমিন বুঝতে পারলো, তখন তুহিনের পাওয়ার বাতিল চেয়ে আদালতে আবেদন করেন তিনি। সেই থেকেই শত্রুতা বাধে শারমিনের সাথে তুহিন ও ইকবালের।
এ শত্রুতা এক সময় গড়ায় প্রাণনাশের হুমকি ধমকিতে। চলতি বছরের ২০ নভেম্বর সন্ধ্যায় সেই শত্রুতার জের ধরে তুহিন ও ইকবালগংরা শারমিনের উল্লেখিত বাসায় গিয়ে তাকে না পেয়ে তার ছোট ভাই মো: রনিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে। তুহিন ও ইকবালগংরা রনিকে বলে, যদি তোরা আমাদের সিদ্ধান্ত মেনে না নেছ, তাহলে শারমিনসহ তোদের যে কাউকে জীবনের তরে শেষ করে ফেলবো, নয়তো একের পর এক মামলা দিয়ে তোদের বড় ধরনের ক্ষতি করবো।
পরে এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ফতুল্লা মডেল থানা একটি জিডি দায়ের করেন শারমিন। জিডি নং ১১৪১, তারিখ: ২০-১১-২৩।