দৈনিক তালাশ.কমঃ উজ্জ্বল কুমার সরকার:নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃনওগাঁয় কামাল আহমেদ (৫২) নামে বিএনপির এক নেতাকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করেছে। তিনি নওগাঁ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, নওগাঁ জেলা জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা জাসাসের সদস্য, নওগাঁ ট্রাক বন্দোবস্তকারী সমিতির সাবেক সভাপতি ও নওগাঁ নজরুল একাডেমির সাংগঠনিক সম্পাদক। শনিবার (১৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত ৯টার দিকে নওগাঁ পৌরসভার ইয়াদ আলীর মোড় তালতলী শাহাপুর এলাকায় হেলমেট ও মাস্ক পরা কয়েক জন দুর্বৃত্ত তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, আতঙ্ক ছাড়ানোর জন্য নওগাঁয় একের পর এক বিএনপির নেতাকর্মীর ওপর হেলমেট ও মাস্ক পরে হামলা করা হচ্ছে। পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাত ৯টার দিকে কামাল আহমেদ সান্তাহার রেলস্টেশন এলাকা থেকে অটোরিকশা চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে নওগাঁ পৌরসভার ইয়াদ আলীর মোড় এলাকায় পৌঁছলে তিনটি মোটরসাইকেল নিয়েকয়েকজন লোক অটোরিকশাটির পথ রোধ করে দাঁড়ায়। কামাল আহমেদকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে হেলমেট ও মাস্ক পড়া ছয় সাতজন দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা গুরুতর জখম কামাল আহমেদকে উদ্ধার করে অটোরিকশায় করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। নওগাঁ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. মামুন জানান, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই রোগীটির মৃত্যু হয়েছে। তাঁর শরীরের ঘাড়ে ও পিঠে ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।নওগাঁ সদর থানার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাশের পিঠে ও ঘাড়ে চাপাতি জাতীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন রয়েছে। কী কারণে কারা তাঁকে হত্যা করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছেদুর্বৃত্তদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন বলেন, ‘চলমান আন্দোলনে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে বিএনপির নেতাকর্মীদের টার্গেট করে হামলা চালানো হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসনও নীরব। এ নিয়ে নওগাঁর রাণীনগর, আত্রাই ও সদর উপজেলায় সাম্প্রতিক সময়ে পাঁচটি হামলার ঘটনা ঘটলো। কিন্তু এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। বিরোধী শক্তিকে কোনঠাসা করতে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করা হচ্ছে।