নওগাঁসহ সারাদেশে একযোগে সনাতন ধর্মালম্বীদের মহাউৎসব শ্যামাকালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে

দৈনিক তালাশ.কমঃউজ্জ্বল কুমার সরকার:নওগাসহ সারাদেশে একযোগ সনাতন ধর্মাবলম্বীদ মহোৎসব শ্যামাকালী পূজা জেলার মহাদেবপুর উপজেলার ৯ নং চেরাগপুর ইউনিয়নের, ৯ নং ওয়ার্ডের চৌমাশিয়ার , চৌমাশিয়া কেন্দ্রীয় সার্বজনীন শিব কালী মন্দির পূজা কমিটি উদ্যোগে ৭মবর্ষ পদার্পণ উদযাপন উপলক্ষে শ্রীশ্রী রক্ষাকালী ,শ্যামাকালী পূজা উদযাপন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় চেয়ারম্যান শ্রী শিবনাথ মিশ্র চক্রবর্তীসহ বিভিন্ন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন । ২৫ শেষ কার্তিক ১৪৩০ বাংলা ১২ ই নভেম্বর ২০২৩ ইংরেজি রবিবার থেকে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহাউৎসব শ্যামাকালী শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার রাতে থেকে কালি শব্দটি তৈরি হচ্ছে কাল ধাতু প্রত্যয় যুক্ত হয়ে। কাল অর্থে সময়, এই সময়কে চোখে দেখা যায় না। তাই কালী হলেন কালো বা ঘন নীল। অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ এই তিনটি কাল নিয়েই হল মহাকাল। আর সেই মহাকালের আদি শক্তি কালী, দশমহাবিদ্যা তাঁরই প্রথম রূপ।পুরাণ অনুসারে সৃষ্টির শুরুতে শ্রীবিষ্ণু তখন যোগনিদ্রায় মগ্ন ছিলেন। সেই সময় বিষ্ণুর নাভিপদ্ম থেকে উত্‍পত্তি হয় প্রজাপতি ব্রহ্মার। এই সময় বিষ্ণুর কর্ণকমল থেকে দুটি দৈত্যের জন্ম হয়। এই দুই দৈত্যের নাম ছিল মধু ও কৈটভ। মধু ও কৈটভ নামে এই দুই দৈত্য ব্রহ্মাকে আক্রমণ করতে উদ্যত হয়। তখন ব্রম্ভা মহাকালীর স্তব শুরু করেন। ভক্তের ডাকে আদ্যা শক্তি মহামায়া কালী রূপে আবির্ভূতা হন।আবার মার্কন্ডেয় পুরাণ অনুসারে শ্রী শ্রী চন্ডীতে বলা আছে যে শুম্ভ ও নিশুম্ভ নামে দুই দৈত্যের অত্যাচারে ভীত দেবতাগণ নিজেদের রক্ষা করতে ও সৃষ্টিকে বাঁচাতে আদ্যাশক্তির আরাধনা শুরু করেন। তখন আদ্যাশক্তির দেহকোষ থেকে আবির্ভূতা হন দেবী অম্বিকা। তিনি ঘোর কৃষ্ণবর্ণ হওয়ায় তাঁর অপর নাম কালী ১৩ তারিখে সোমবার বিকাল ৫ টার সময় চৌমাশিয়া কেন্দ্রীয় সার্বজনীন শিব কালী মন্দিরে সকল ভক্তবৃন্দ মিলে আনন্দমুখর পরিবেশে সিঁদুর খেলা সম্পন্ন করা হয়।

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *