দৈনিক তালাশ.কমঃ মোঃ জাহিদ হাসান বিশেষ প্রতিনিধি:
বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সন্ত্রাসীরা (বিএনপি-জামায়াত) যে হাত দিয়ে বাসে আগুন দেবে, সেই হাত পুড়িয়ে দিতে হবে। বিএনপি-জামায়াতকে সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে, তা না হলে তাদের এজন্য পরিণত ভোগ করতে হবে।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় নির্বাচন নিয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন হবে এবং যথাসময় হবে। কারাও চোখ রাঙানিতে নির্বাচন থেমে থাকবে না।বিরোধীদলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে অন্য এক সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খুনিদের সঙ্গে কীসের বৈঠক?
সাংবাদিকদের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, মাঝখানে কিছুদিন বিএনপি রাজনৈতিকভাবে কর্মসূচি করছিল এবং আপনারা নিশ্চয়ই বিশেষভাবে লক্ষ্য করেছিলেন আমাদের সরকার কিন্তু তাদের কোনো বাধা দেয়নি। তাদের ওপর একটা শর্ত ছিল, তারা অগ্নিসংযোগ বা ভাঙচুর করবে না।
তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) যখন সুষ্ঠুভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি করছিল তাতে কিন্তু মানুষের একটু আস্থা-বিশ্বাসও তারা ধীরে ধীরে অর্জন করতে শুরু করেছিল। কিন্তু ২৮ তারিখে বিএনপি যেসব ঘটনা ঘটালো, বিশেষ করে যেভাবে পুলিশকে হত্যা করেছে, মাটিতে ফেলে যেভাবে কোপালো, সাংবাদিকদের যেভাবে পেটালো, এ ঘটনার পর জনগণের ধিক্কার ছাড়া বিএনপির কিছুই জুটবে না।
শুধু তাই নয়, হাসপাতালে ঢুকেও তারা হামলা করেছে। সেখানেও পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েল যেভাবে ফিলিস্তিনে হাসপাতালে হামলা করছে, নারী-শিশুদের হত্যা করছে, এর সঙ্গে তো বিএনপির হামলার কোনো তফাৎ দেখি না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫-২৬ অক্টোবর বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ‘গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরাম’ সম্মেলনে যোগদান শেষে ২৭ অক্টোবর দেশে ফেরেন।
বিদেশ সফর শেষে প্রতিবার সংবাদ সম্মেলন করেন সরকারপ্রধান। সবশেষ গত ৬ অক্টোবর তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন ভারতে জি টোয়েন্টি সম্মেলন এবং জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার অভিজ্ঞতা জানাতে। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও সংবাদ সম্মেলনে এলেন প্রধানমন্ত্রী।
গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে অংশ নিতে গত ২৪ অক্টোবর সফরসঙ্গীদের নিয়ে বেলজিয়ামে যান শেখ হাসিনা। বেলজিয়ামে পৌঁছানোর পর ২৫ ও ২৬ অক্টোবর ওই ফোরামে যোগ দেন তিনি।