দুর্গাপূজার মহাঅষ্টমীতে না.গঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশনে  উৎসবমুখর পরিবেশে কুমারী পূজা

দৈনিক তালাশ.কমঃরবিবার ( ২২ অক্টোবর ) বেলা ১১টায় শহরের চাষাড়া মিশনপাড়া এলাকায় নারায়ণগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে কুমারী দেবীকে অঞ্জলি দেওয়ার মধ্য দিয়ে পূজা অর্চনা শুরু হয়।

এবারের কুমারী পূজায় দেবীর আসনে বসিয়ে পূজা দেওয়া হয়েছে দেওভোগ ভূইঁয়ারবাগ এলাকর বিদ্যা নিকেতন হাই স্কুলের তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রী সাড়ে ৭ বছরের কন্যা মিষ্টি চক্রবর্তী। মিষ্টি চক্রবর্ত্তী শহরের দেওভোগ এলাকার কাশ্যপ গোত্রের দিপংঙ্কর চক্রবর্তী ও সম্পা রাণী চক্রবর্তীর মেয়ে।

ঢাকঢোল ও শঙ্খ বাজিয়ে অঞ্জলি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কুমারী দেবীকে বরণ করেন ভক্তরা। এরপর দেবীর কাছে সবাই প্রার্থনা করেন। কুমারী পূজা পরিচালনা করেন নারায়ণগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী একনাথানন্দ মহারাজ।

শারদীয় দুর্গোৎসবের মহা অষ্টমীতে দেবী বন্দনার পাশাপাশি বিপুল আড়ম্বরে কুমারী পূজা উপলক্ষে চাষাড়া রামকৃষ্ণ মিশনে ভক্ত, পূজারি ও দর্শণার্থীদের ঢল নামে। সনাতন ধর্ম মতে, মা ই মহাশক্তির আধার। আর পৃথিবীর সবকিছুই মায়ের হাতে। তাই অষ্টমী তিথিতে কুমারী বালিকাকে পবিত্র মেনে দেবীর আসনে বসিয়ে তাকে মাতৃরূপে পূজা করা হয়।

সনাতন ধর্মালম্বীদের বিশ্বাস অষ্টমী তিথিতে প্রতিটি নারীর মাঝেই দুর্গা মাতৃরূপে প্রস্ফুটিত হন। আর তাই মায়ের রূপে কুমারী কন্যাকে জীবন্ত প্রতিমা করে তাকে পবিত্র মেনে দেবীর আসনে বসিয়ে মাতৃরূপে পূজা করা হয়। হিন্দুপুরাণ অনুযায়ী মাতৃজ্ঞানে কুমারী দেবীকে ষোলটি নামে ডাকা হয়ে থাকে।

কুমারী পূজা সম্পর্কে মহারাজ বলেন, স্বামী বিবেকানন্দ শারদীয় দুর্গোৎসবে এ কুমারী পূজার প্রচলন শুরু করেন। দেবীকে জাগতিকভাবে পূজা করতে শত বছর ধরে এ কুমারী পূজা পালন করা হচ্ছে। সনাতন ধর্মের নিয়ম অনুসারে দেবীকে শিশুরূপে মায়ের আসনে পূজা করা হয়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, দেওভোগ নাগমহাশয় মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক তারাপদ আচার্য্যসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *