দৈনিক তালাশ.কমঃ সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, কাফনের কাপড় মাথায় বেঁধে নেমেছি এবার। মৃত্যুর সাথে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়েছি। এ দেশ আপনার আমার। এদেশের জন্য আপনার আমার বাবা মা রক্ত দিয়েছে। আমরা আর বলব না খেলা হবে, ফাটাফাটি হবে এবার। সোনারগাঁ থেকে আমরা দেখাবো ফাটাফাটি কাকে বলে। পূজার পরে একটা থাবা দেব নারায়ণগঞ্জ থেকে। বিএনপিকে এক থাবায় ঢাকা শহর খালি করে দেব।
বুধবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে আওয়ামী লীগের জনসভা সফল করতে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি সভায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিন।
তিনি আরও বলেন, আমি চিঠি লিখে বলেছিলাম আমাকে মনোনয়ন দিয়েন না। কারণ আমি এমপি না হলে কিছু হবে না। কিন্তু শেখ হাসিনা না থাকলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। এটা বড় যুদ্ধ। সারারাত ঘুমাই না। আমি সব খবর পাই। আমি জানি ওরা কোন দিক দিয়ে এগুচ্ছে আর ওরাও জানে আমি কোনদিক দিয়ে এগুচ্ছি। ঝড়ের সামনে দাঁড়িয়ে আমাদের বলতে হবে যে আমরা তোদের চেয়ে বড় ঝড়। মরন কামড় আসবে পূজার মধ্যে ও পরে। ১০/১২ দিনে দেশকে এমন জায়গায় নিয়ে যেতে চেষ্টা করবে। ওরা চেষ্টা করবে কিন্তু পারবে না। কারন শয়তান কখনও মানুষের সাথে পারে না।
এসময় শামীম ওসমান বলেন,বাংলাদেশের ইতিহাসে এর চেয়ে বড় ষড়যন্ত্র হয়নি হবেও না। শেখ হাসিনা যে ভাষায়, কথা বলছেন সে ভাষায় আর কোন নেতা কথা বলার সাহস করতে পারছে না। পার্লামেন্টে আপনারা শুনেছেন নেত্রীর কথা। যার বিরুদ্ধে কথা বলছেন তারা দেশের সবচেয়ে বড় শক্তি। আমেরিকা কী ছেড়ে কথা বলবে। দলের ভেতর মোশতাক আছে, নারায়ণগঞ্জেও আছে।
নারায়ণগঞ্জ -৩ (সোনারগাঁ) আসনের সাবেক সাংসদ ও সোনারগাঁ আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কায়সারের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত শহিদ বাদল, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, মারুফুল ইসলাম ঝলক, সোহাগ রনি, বাবুল ওমর বাবু, মোশাররফ হোসেন, রফিকুল ইসলাম নান্নু, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাসেল, সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সাগরসহ প্রমুখ।