সীমানার বাইরে চাঁদা উত্তোলন,এলাকাবাসীর প্রতিরোধ

দৈনিক তালাশ.কমঃ একটিমাত্র ঘাটের ইজারা নিয়ে নির্ধারিত সীমানা বাইরে গিয়েও চাঁদা উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে নারায়ণগঞ্জ সদর থানাধীন কয়লাঘাটের ইজারাদার তাইজ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে। জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ বিআইডব্লিউটিএ’র থেকে চলতি বছরের পহেলা জুলাই এক বছরের জন্য কয়লাঘাটের ইজারা নেন তাইজ উদ্দিন আহমেদ। যার মেয়াদ আগামী বছরের জুলাই মাসে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এ ইজারায় শুধুমাত্র এ ঘাটে নঙ্গর করা সকল প্রকার নৌযান থেকে তার চাঁদা তোলার কথা থাকলেও তিনি তার সীমানার বাইরের থেকেও নিয়মিত চাঁদা আদায় শুরু করেন। কয়লাঘাট থেকে শুরু করে চর সৈয়দপুরের প্রিমিয়ার সিমেন্ট কারখানার শেষ সীমানা পর্যন্ত সকল প্রকার নৌযান থেকে তিনি মো: সোহেল ও আকবরসহ আরও বেশ কয়েকজন দিয়ে নিয়মিত চাঁদা আদায় করিয়ে থাকেন।

এদিকে এসকল চাঁদা আদায়কারিদের বিরুদ্ধে একসময় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ওই সকল এলাকাবাসী ও নৌযান শ্রমিকরা। তারা চাঁদা আদায়কারিদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলে। ফলে নির্ধানিত ঘাট ব্যতিত প্রায় সকল স্থান থেকে তার চাঁদা আদায় প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়ে। স্থানীয় এলাকাবাসী ও নৌযান শ্রমিকদের প্রতিরোধে অনেকটাই কোনঠাসা হয়ে পড়ে তাইজ উদ্দিনসহ সকল চাঁদা আদায়কারিরা। ফলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তারা।
তারা শ্রমিক ও এলাকাবাসীদের এ প্রতিরোধ ভেঙ্গে দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যর্থ হন। পরে তারা ভাবেন, শ্রমিক ও স্থানীয় এলাকাবাসীদের এ প্রতিরোধ গড়ে তোলার পিছনে অন্যকারো ইন্ধন রয়েছে। তাই তারা এসকল এলাকার বেশ কয়েজনকে টার্গেট করে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করেন। সেই ষড়যন্ত্রেরই একটি অংশ টার্গেট করা ওই সকল ব্যক্তিদের সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা। তাই তারা একটি মিথ্যা অভিযোগ এনে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেন স্থানীয় ফয়সাল মাদবর ও কাশেম সম্রাটদের। তাইজ উদ্দিনরা এভাবে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে ফয়সাল মাদবর বলেন, ওই ঘাটের ইজারা কে পাইছে? এটাইতো আমরা ঠিকমত বলতে পারবো না। আমাদেরতো ট্রান্সপোর্টর ব্যবসা। আমরা ওইসব খবর রাখিনা। তবে এলাকার বাসিন্দা হিসেবে অনেক সময় নদীরপাড়ে চিল্লাচিল্লির খবর পাই। কিছুদিন আগে শুনেছি, নৌ শ্রমিক ও এলাকাবাসী কি নিয়ে যেন আন্দোলন করছে। আন্দোলনে যাদের নাম শুনেছি, তাদের অনেককেই আমি চিনিনা। যাইহোক, কি কারণে এসবের মধ্যে আমাদের নাম জড়ানো হয়েছে, তা আমরা অবগত না। তাইজ উদ্দিন নামে যে ব্যক্তি বা ইজারাদার আমাদের নামে অভিযোগ করেছে, তাকে আমরা ঠিকমত চিনি না। তার সাথে কখনো কোনদিন কথা হয়েছে বলে মনে পড়েনা। ট্রান্সপোর্ট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এ আমাদের অনেক শত্রু রয়েছে। যাদের বেশিরভাগকেই আমরা চিনিনা। হয়তো, তাদের মধ্যে তিনিও একজন। যাইহোক, তিনি যে অভিযোগ করেছে তার সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই। তার মূল উদ্দেশ্যই হলো আমাদের সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা। তাই তার কোন কথা মিডিয়াভাইদের আমলে না নেয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *